বাড়ি বাড়ি গিয়ে নজরদারি তো চালানো হবেই। তার আগে ডেঙ্গি মোকাবিলায় এ বার স্থানীয় লোকশিল্পী, ক্লাব ও স্কুলকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় প্রচারে নামবে প্রশাসন।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ডেঙ্গি মোকাবিলা নিয়ে মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, কলকাতার নতুন পুলিশ কমিশনার এবং ২০ দফতরের শীর্ষ কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং বিধাননগর পুরসভার মেয়র সব্যসাচী দত্ত।
প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশ জানান, মে থেকেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারের কাজে নামেন পুর ও পঞ্চায়েতকর্মীরা। এ বার তার আগেই পাড়ায় পাড়ায় প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। স্থানীয় লোকশিল্পী, ক্লাবের সদস্যেরা এলাকায় ডেঙ্গি সচেতনতা কর্মসূচি চালাবেন। পরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখা হবে, প্রচারের প্রভাব কতখানি পড়েছে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় যুক্ত সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী এ দিনের বৈঠকে জানান, কাজ শেষ হয়ে গেলে যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গর্ত বুজিয়ে দেওয়া হয়, সেই বিষয়ে পূর্ত, সেচ ও মৎস্য দফতর এবং সংশ্লিষ্ট পুরসভাকে তৎপর হতে হবে। কারণ গর্তে জল জমে বিপদ বাড়ে। পুরসভা এবং নগরোন্নয়ন দফতরকে নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক রাখতে হবে৷ কচুরিপানা সরিয়ে গাপ্পি মাছ ছাড়তে হবে জলাশয়ে। সল্টলেকে কয়েক বছর ধরে ডেঙ্গি বেশি হচ্ছে। তাই সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিকে ওখানে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। সচেতনতা প্রচারে সরকারি বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও শরিক করে নিতে চায় সরকার।
নবান্ন থেকে বেরোনোর মুখে মমতা জানান, ডেঙ্গি মোকাবিলায় আগে থেকেই বিভিন্ন সরকারি দফতরকে নিয়ে বৈঠক করা হল। গত বছর ডেঙ্গিপ্রবণ বলে চিহ্নিত ন’টি জেলায় বিশেষ নজরদারি চালানো হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন অফিস ও আবাসন যাতে পরিষ্কার থাকে, সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন মুখ্যসচিব।