Suvendu Adhikari

শুভেন্দুদের প্রচারে মূল অস্ত্র আর জি কর

আর জি কর কাণ্ডে নাগরিক প্রতিবাদ দেখেছে গোটা রাজ্য। সেখানে গেরুয়া দলের সংযোগ আপাত ভাবে কমই চোখে পড়েছে। বরং বামেদের একাংশের যুক্ত থাকার দৃষ্টান্ত সামনে এসেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর ও তালড্যাংরা শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:১৫
Share:

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল ছবি।

আর জি কর আন্দোলনকে অরাজনৈতিক রাখতে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের থেকে দূরত্বই রেখেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। কিন্তু বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচারে এসে সেই ঘটনাকেই প্রধান ‘অস্ত্র’ হিসাবে ব্যবহার করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ভোট প্রচারে বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে শহরে দলীয় প্রচারপত্র বিলি করেন শুভেন্দু। সঙ্গে বার্তা, “আর জি করের বদলা নিন, পদ্মফুলে ভোট দিন।” প্রচারপত্রেও লেখা রয়েছে, ‘বাংলায় নারী সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে পদ্ম চিহ্নে ভোট দিন।’ অন্য দিকে, বাঁকুড়ার তালড্যাংরায় প্রচারে সুকান্ত বলেন, “বিজেপিকে ভোট দিয়ে আর জি করের প্রতিবাদ জানান।”

Advertisement

আর জি কর কাণ্ডে নাগরিক প্রতিবাদ দেখেছে গোটা রাজ্য। সেখানে গেরুয়া দলের সংযোগ আপাত ভাবে কমই চোখে পড়েছে। বরং বামেদের একাংশের যুক্ত থাকার দৃষ্টান্ত সামনে এসেছে। কিন্তু উপনির্বাচনে বাম, কংগ্রেসের মতো বিজেপিও আর জি কর কাণ্ডকেই প্রচারের মুখ্য বিষয় করেছে। এ দিন শুভেন্দু বলেন, “ভোট দিতে পারলে, সনাতনী লোকজন কেউ ভোট দেবে না তৃণমূলকে। যে ভাবে আর জি করের ঘটনা ঘটেছে, মহিলা ও শিশুদের উপরে অত্যাচার হচ্ছে, তাতে মানুষ বীতশ্রদ্ধ।” তৃণমূলের প্রচারে ‘অস্ত্র’ লক্ষ্মীর ভান্ডার। শুভেন্দু বলেন, “মহিলারা দেখুন, বুঝুন। ভাতার কাছে আত্মসমর্পণ করবেন, না ডাক্তার-বোনের ধর্ষণ-খুনের হিসাব নেবেন?” তালড্যাংরায় সুকান্ত বলেন, “আপনি চান আপনার বাড়ির মেয়ের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটুক? না চাইলে বিজেপিকে ভোট দিন। উপনির্বাচনে জেতালে হয়তো সরকার বদল হবে না, কিন্তু আপনার প্রতিবাদটা নথিভুক্ত হবে।”

তৃণমূলের দাবি, উপনির্বাচনে আর জি করের প্রভাব পড়বে না। দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা চেয়ারম্যান দীনেন রায়ের কথায়, “ওই ঘটনার কোনও প্রভাবই উপনির্বাচনে পড়বে না। কারণ, তদন্তে সিবিআই, মামলা সুপ্রিম কোর্টে।”

Advertisement

কমিশনের অনুমতি না মেলায় এ দিন মিছিল না করে শুভেন্দু শহরে ঘুরে জনসংযোগ সারেন। জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকারকে নিশানা করে তিনি বলেন, “এখানে ধৃতিমান আছে তো, বাতিল (আবেদন) হবেই। ঠিক সময়ে হিসেব হবে!” এই প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার কিছু বলতে চাননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement