India-America Relation

ট্রাম্প জমানায় আমদানি করা পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক? প্রভাব পড়বে না দুই দেশের সম্পর্কে, মনে করছে নয়াদিল্লি

বাণিজ্য মন্ত্রকের কর্তারা অবশ্য মনে করছেন, প্রচারে যে আর্থিক নীতির কথা শুনিয়েছেন ট্রাম্প, তা বাস্তবায়িত হলে আমেরিকায় পাঠানো পণ্যের দাম বিপুল চড়বে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:২২
Share:

আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

নির্বাচনী প্রচারের সময়ই ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, তিনি ফের প্রেসিডেন্ট হলে আমেরিকায় আমদানি হওয়া সব পণ্যে ২০% শুল্ক চাপাবেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট পদে তাঁর প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত হওয়ার পরে মোদী সরকার মনে করছে, ট্রাম্প যে হুঁশিয়ারিই দিন না কেন, তাতে ভারত-আমেরিকার বাণিজ্যিক সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না।

Advertisement

বাণিজ্য মন্ত্রকের কর্তারা অবশ্য মনে করছেন, প্রচারে যে আর্থিক নীতির কথা শুনিয়েছেন ট্রাম্প, তা বাস্তবায়িত হলে আমেরিকায় পাঠানো পণ্যের দাম বিপুল চড়বে। কারণ, সেগুলিতে ২০% আমদানি শুল্ক বসবে। চিনা পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক হবে ৬০%-১০০%। এতে আমেরিকায় মূল্যবৃদ্ধির হার বাড়বে। সেখানকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক বর্তমানে সুদ কমানোর যে পথে হাঁটছে, তাতে বাধা পড়বে। উল্টে তা ফের বাড়াতে হবে। এর প্রভাব পড়বে বিশ্ব অর্থনীতিতে।

ট্রাম্প বলেছিলেন, আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যে কড়া অবস্থান নেয় ভারত। শুল্ক নীতির অপব্যবহার করে। তাঁর যুক্তি ছিল, ভারত নিজের স্বার্থ রক্ষায় আমেরিকা থেকে আমদানি করা পণ্যে শুল্ক চাপায়। কিন্তু আমেরিকায় পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে মুক্ত বাণিজ্য নীতির সুবিধা নিতে চায়। বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রের পাল্টা বক্তব্য, আমেরিকা নিজের চাষিদের স্বার্থেও শুল্ক চাপায়। যেমন, বাদাম থেকে তৈরি মাখনে ১৬৩% শুল্ক বসিয়েছে।

Advertisement

আজ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘ভারতের সঙ্গে আমেরিকার বিস্তৃত আর্থিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। ২০২৩-এ বাণিজ্যের অঙ্ক ছুঁয়েছে ১৯,০০০ কোটি ডলার। আমেরিকা ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য শরিক। এত বড় সম্পর্কে সমস্যা থাকবে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় সাতটির সমাধানও হয়েছে। দু’দেশই কী ভাবে সম্পর্ককে এগোনো যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement