Mamata Banerjee On Waqf Bill

‘ওয়াকফের জন্য সংসদে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি আমরা’, বিজেপিকে নিশানা করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা

তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জুমলা পার্টির একমাত্র কর্মসূচি হল, দেশ ভাগ করা। তারা ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ নীতিতে বিশ্বাস করে, যা আমরা করি না। আমরা আমাদের সংবিধান অনুসরণ করি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:২৩
Share:

নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

সংসদে ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে বিতর্ক চলছে। বিরোধীরা এককাট্টা হয়ে জানিয়েছেন, ভোটাভুটি হলে তাঁরা বিলের বিপক্ষে ভোট দেবেন। এই প্রেক্ষিতে বিজেপিকে নিশানা করে দলের সাংসদদের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সাংসদেরা আজ ওয়াকফের জন্য লড়াই করছেন।’’ এর পর বিজেপিকে নিশানা করে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘‘জুমলা পার্টির একমাত্র কর্মসূচি হল, দেশ ভাগ করা। তারা ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ নীতিতে বিশ্বাস করে, যা আমরা করি না। আমরা আমাদের সংবিধান অনুসরণ করি।’’

Advertisement

গত ৮ অগস্ট লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। বিলটি ‘অসাংবিধানিক এবং মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপকারী’ বলে অভিযোগ তুলে বিরোধীরা একযোগে তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিরোধীদের অভিযোগ, ৪৪টি সংশোধনী এনে ওয়াকফ বোর্ডের উপর সরকারি কর্তৃত্ব নিরঙ্কুশ করতে চাইছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। দীর্ঘ বিতর্কের শেষে ঐকমত্যের লক্ষ্যে বিলটি জেপিসির কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। এখন লোকসভায় এই বিল পাশ করাতে ২৭২ জন সাংসদের সমর্থন প্রয়োজন। বিজেপির সাংসদ সংখ্যা ২৪০, জেডিইউ-এর ১২ আর টিডিপির ১৬। এ ছাড়াও লোকসভায় চিরাগের দলের পাঁচ জন এবং শিন্দেসেনার সাত জন সাংসদ রয়েছেন। শরিকদের সমর্থন নিশ্চিত হওয়ায় অনায়াসেই বিলটি লোকসভায় পাশ করাতে পারবে এনডিএ শিবির। অন্য দিকে, রাজ্যসভায় এনডিএ-র ১২৫ জন সাংসদ রয়েছেন। ছ’টি আসন শূন্য রয়েছে। ফলে ১১৮ জন সাংসদের সমর্থন পেলে সংসদের উচ্চ কক্ষে বিলটি পাশ করাতে পারবে শাসক জোট। রাজ্যসভায় বিজেপির ৯৮ জন, জেডিইউ-এর চার জন, অজিত পওয়ারের এনসিপির তিন জন এবং টিডিপির দু’জন সাংসদ রয়েছেন। বিজেপির আশা, অসম গণ পরিষদ এবং তামিল মানিলা কংগ্রেসের এক জন সাংসদের সমর্থন তারা পাবে। একই ভাবে মনোনীত ছ’জন সদস্যও বিলের পক্ষে ভোট দেবেন বলে আশা পদ্মশিবিরের।

বুধবার সংসদে বিল পেশের আগে শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক। তৃণমূলের তরফে শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দলের তরফে তিনি এই বিলের বিরোধিতা করছেন। এই বিল অসাংবিধানিক এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা। ওই প্রসঙ্গে তৃণমূলনেত্রী মমতা নবান্নে বলেন,‘‘আমাদের সকলের প্রথমে সংবিধানকে সম্মান করা উচিত। সর্বদা মনে রাখবেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমি শ্রীকৃষ্ণের ধর্মোপদেশ শুনি। স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি, গান্ধীজি, অম্বেডকর, আবুল কালাম আজাদ এবং রামকৃষ্ণের ধর্মোপদেশ, লেখা পড়ি। যদি কারও কর্ম অমানবিক হয়, তবে তারা কোনও ধর্মকে শ্রদ্ধা জানাতে পারে না। আমি সকল ধর্মকে সম্মান করি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement