mamata banerjee

ভাইফোঁটা পেতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি, কালীপুজোয় মমতার বাড়িতে সস্ত্রীক আমন্ত্রণ পেলেন রাজ্যপাল

এ দিন রাজ্যপাল বলেন, ‘‘২৭ তারিখ মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যাওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছি। আমার স্ত্রী এবং আমি, দু’জনেই খুশি। আমরা যাব।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৯ ১৫:২২
Share:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জগদীপ ধনখড়। —ফাইল চিত্র।

ভাইফোঁটার দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করে চিঠি লিখেছিলেন। আমন্ত্রণও তিনি পেয়েছেন। তবে ভাইফোঁটাতে নয়, কালী পুজোর দিন মমতা তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে আসার জন্যে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে। শনিবার বারাসতে একটি কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে এ কথা রাজ্যপাল নিজেই জানিয়েছেন।

Advertisement

রাজভবন সূত্রে খবর, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফরে থাকাকালীন তাঁকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেখানে ভাইফোঁটার দিন সস্ত্রীক মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে যাওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করেন তিনি। সফর থেকে ফিরে মুখ্যমন্ত্রী কালীপুজোর দিন বিকেলে সস্ত্রীক রাজ্যপালকে তাঁর বাড়িতে আসার আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়ে দেন রাজভবনে। এ দিন রাজ্যপাল বলেন, ‘‘২৭ তারিখ মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যাওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছি। আমার স্ত্রী এবং আমি, দু’জনেই খুশি। আমরা যাব।”

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবুল-কাণ্ড থেকে রেড রোডে পুজো কার্নিভাল— বার বার রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপালকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে কোনও মন্তব্য না করলেও, একাধিক বার তাঁর সরকারের সমালোচনা করেছেন তিনি। ভাইফোঁটায় নিজে থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করে রাজ্যপাল কি বরফ গলাতে চাইছেন, নাকি এটা তাঁর কোনও ‘রাজনৈতিক চাল’ তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। এ দিন রাজ্যপাল আরও বলেন, “২৯ অক্টোবর ভাই-বোনদের জন্য বিশেষ একটা দিন। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলাম। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আমাদের ২৭ তারিখ কালীপুজোর বিকেলে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।”

Advertisement

আরও পড়ুন: ক্ষতিপূরণের ভাগ চেয়ে মার, ঘরেও লড়াই নির্যাতিতার

৫ম থেকে সব শ্রেণিতে পাশ-ফেলের পক্ষে বঙ্গ

তা হলে ভাইফোঁটার দিন কি করবেন রাজ্যপাল? সে প্রসঙ্গে এ দিন জগদীপ ধনখড় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ওই দিন তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিরর জন্য বিভিন্ন জায়গায় যান। আমিও তাই করি। ওই দিন কী করব, তা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর জানাব।” এর পরেই সাংবাদিকরা রাজ্যপালের কাছে জানতে চান, ওই দিন কি দু’জনকে একসঙ্গে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কোনও অনুষ্ঠানে দেখা যাবে? রাজ্যপাল বলেন, ‘‘আমি সাধারণ একজন মানুষ। ভাইফোঁটার দিন ওঁর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলেছিলাম, কারণ, ভাই এবং বোনের মধ্যে যাতে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যে কোনও অনুষ্ঠানই আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উদ্‌যাপন করতে চাই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement