International Kolkata Book Fair

‘নীল-সাদা রং করেছি বলে অনেকে বলত আমি নাকি আর্জেন্টিনার সমর্থক!’ স্মৃতি আওড়ালেন মমতা

মূল মেলা উদ্বোধনের আগে কলকাতা পুলিশের প্যাভেলিয়ন উদ্বোধন করেন মমতা। তার পরে ফিতে কাটেন তৃণমূলের মুখপত্রের স্টলেরও। এ বার সেই স্টল তৈরি হয়েছে মাটির বাড়ির আদলে। মমতা জানিয়েছেন, এ বার দলের মুখপত্রের স্টলের থিম ‘মা-মাটি-মানুষ’।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫০
Share:

বইমেলার উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —সংগৃহীত।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে নীল-সাদা বাংলার রঙে পরিণত হয়েছে। ফুটপাথের রেলিং থেকে সরকারের সচিবালয়, প্রকল্পের বিজ্ঞাপন থেকে সরকারি কর্মসূচির প্যান্ডেল— সবই নীল-সাদা। মঙ্গলবার কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আর্জেন্টিনার প্রতিনিধিদের সামনে সেই রং কেন এবং তার জন্য তাঁকে কী শুনতে হয়েছে, সে কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

মমতা বলেন, ‘‘আর্জেন্টিনার প্রতিনিধিরা এখানে রয়েছেন। আমি যখন রাস্তায় নীল-সাদা রং করা শুরু করেছিলাম, তখন অনেকে বলেছিলেন, আমি নাকি আর্জেন্টিনার সমর্থক। কিন্তু আমি মনে করি, নীল-সাদা আকাশের রং। আর আকাশের কোনও সীমানা হয় না। রঙেরও কোনও সীমানা হয় না। সব রংই রঙিন।’’ উল্লেখ্য, আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের জার্সির মতোই আর্জেন্টিনার জাতীয় পতাকার রং আকাশি নীল-সাদা। পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে রং ব্যবহার করে, তা হুবহু আর্জেন্টিনার পতাকা বা জার্সির মতো না হলেও অনেকেই দুই রঙে মিল পান। মমতা মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন ২০১১ সালের মে মাসে। ওই বছরেরই সেপ্টেম্বরে কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে এসেছিল আর্জেন্টিনা ফুটবল দল। যে দলে ছিলেন লিওনেল মেসি। যুবভারতীতে ভেনেজ়ুয়েলার মুখোমুখি হয়েছিলেন মেসিরা। তখন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী ছিলেন মদন মিত্র। তার আগেই কলকাতার রাস্তার রং নীল-সাদা করা শুরু হয়েছিল। সেই সময়ে মদন ঘনিষ্ঠমহলে বলেছিলেন, মেসি নাকি বিমানবন্দরে নেমে রাস্তা দিয়ে হোটেলে যেতে যেতে বুঝতেই পারেননি, এটা কলকাতা না বুয়েনস আইরেস (আর্জেন্টিনার রাজধানী)!

এ বছর ৪৮তম কলকাতা বইমেলার ‘থিম কান্ট্রি’ জার্মানি। জার্মানির প্রতিনিধিদের উদ্দেশেও মমতা বলেন, ‘‘আপনাদের ফুটবলারদের আমার অভিনন্দন জানাবেন। আমরা ফুটবল ভালবাসি। আমাদের এখানেও অনেক ক্লাব রয়েছে।’’ বইমেলার মঞ্চে মমতা মিলিয়ে দিয়েছেন ফুটবলকেও। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত ফিলিপ আকারমান, গ্যোটে ইনস্টিটিউটের দক্ষিণ এশিয়ার অধিকর্তা মার্লা স্টুকেনবের্গ। সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য আবুল বাশারকে বিশেষ সম্মান প্রদান করে মেলার উদ্যোক্তা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড।

Advertisement

মূল মেলা উদ্বোধনের আগে কলকাতা পুলিশের প্যাভেলিয়ন উদ্বোধন করেন মমতা। তার পর ফিতে কাটেন তৃণমূলের মুখপত্রের স্টলের। এ বার সেই স্টল তৈরি হয়েছে মাটির বাড়ির আদলে। সামনে রয়েছে অর্জুন গাছ। দেওয়ালের খোপে খোপে রাখা হয়েছে বই। মমতা জানান, এ বার দলের মুখপত্রের স্টলের থিম ‘মা-মাটি-মানুষ’। যা তৃণমূলের রাজনৈতিক স্লোগান। বইমেলায় নিজের লেখা তিনটি বইও প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেগুলি হল, ‘লিপিবদ্ধ’, ‘স্যালুট-২’ এবং ‘বাংলায় নির্বাচন ও আমরা’।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement