পোলট্রি শিল্পে প্রচুর চাহিদা, এগিয়ে আসুন, বললেন মমতা।
সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতে বলেছিলেন, এ বার তাঁর সরকার সামাজিক প্রকল্প থেকে কিছুটা সরে শিল্পে মন দেবে। বুধবারের বৈঠকে পর পর বেশ কয়েকটি নতুন শিল্পের ঘোষণাও করেন।ওই ঘোষণায় জ্বালানি, তথ্য-প্রযুক্তি ‘হাব’-এর পাশাপাশি ক্ষুদ্র শিল্প পোলট্রিকেও সমান গুরুত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্র কিংবা জ্বালানি তৈরির পরিকল্পনায় হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের ঘোষণা করার মধ্যে মমতাকে বলেন, ‘‘পোলট্রিও কিন্তু একটা শিল্প। আপনারা এ দিকে গুরুত্ব দেন না কেন বলুন তো?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘হাঁসের পোলট্রি তেমন নেই রাজ্যে। বাইরে থেকে প্রতি দিন ৩০ লক্ষ ডিম আমদানি করতে হয়। নিজেরা যদি উৎপাদন করতে পারি, তা হলে অন্য রাজ্যের উপর নির্ভর করব কেন? স্বনির্ভর হন। রাজ্য আপনাদের সাহায্য করবে।’’
পোলট্রি শিল্পে সরকারি ভর্তুকির ঘোষণাও বুধবার করেছেন মমতা। পানাগড়ে মমতার সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন বর্ধমান, রানিগঞ্জ, দুর্গাপুর, আসানসোলের ‘চেম্বার অব কমার্স’-এর প্রতিনিধিরা। তাঁদের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘‘অনেক সুযোগ আসতে চলেছে। পোলট্রি তৈরি করাও কিন্তু একটা শিল্প। হাঁসের পোলট্রি নেই এখানে। সরকার ক্ষুদ্র শিল্প প্রকল্প থেকে ভর্তুকি দিচ্ছে। সুযোগ কাজে লাগান। হাঁসের পোলট্রি তৈরি করুন। মাছ চাষেও অনেক সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। মাছ চাষ করুন।’’
রাজ্যে ডিমের প্রচুর চাহিদা রয়েছে জানিয়ে মমতা বৈঠকে বসেই বিভাগীয় কর্তার কাছে সেই সংক্রান্ত হিসেব নেন। পর মুহূর্তেই বলেন, ‘‘রাজ্য এখনও প্রতি দিন ৩০ লক্ষ ডিম আমদানি করে। ভাবুন তো কত বড় বাজার! কেন আমরা নিজেরা উৎপাদন করব না?’’ সরকার বিরাট অঙ্কের ভর্তুকি দিচ্ছে বলে জানিয়ে মমতার প্রশ্ন, ‘‘ব্যাঙ্ক ঋণ দিচ্ছে, সরকার সাহায্য করছে, এমনকি মুরগি-ছাগলও দেওয়া হচ্ছে। এর পরেও কেন পোলট্রি শিল্পে আসবেন না আপনারা?’’
পোলট্রি শিল্পের উন্নতির জন্য বণিকসভাগুলিকে সচেষ্ট হতে বলে মমতার নির্দেশ, ‘‘এ বার একটু ইট, কাঠ, পাথর ছেড়ে গ্রামীণ এলাকায় ক্ষুদ্র শিল্পগুলি ঘুরে দেখুন। এই সব ক্ষেত্রগুলিতে বিনিয়োগ টানার চেষ্টা করুন।’’