চার দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র
তিন দিনের সফরে উত্তরবঙ্গে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার কলকাতা থেকে বাগডোগরা হয়ে জলপাইগুড়ি পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ৪ দিন জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলায় একাধিক রাজনৈতিক ও সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দেবেন তিনি। লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে দলের খারাপ ফলের পর বিধানসভা ভোটের মুখে নেত্রী কী বার্তা দেন, তার অপেক্ষায় উত্তরবঙ্গের দলীয় নেতা-কর্মীরা।
লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গ থেকে একটি আসনও জিততে পারেনি তৃণমূল। স্বাভাবিক ভাবেই লোকসভার ফলে বিধানসভা অনুযায়ী ফলও খারাপ। তার উপর দলের মধ্যেও রয়েছে গোষ্ঠীকোন্দল। তার জেরে দল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। মালদহেও দলের নেতাদের মধ্যে সমস্যা রয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। এমন পরিস্থিতিতেই সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে জলপাইগুড়ি পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবার বাগডোগরা থেকে হেলিকপ্টারে জলপাইগুড়ি পুলিশ লাইনের মাঠে নামেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানাতে পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকরা ছাড়াও বহু সাধারণ মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। সেখান থেকে সড়কপথে তিনি যান জলপাইগুড়িতে কিং সাহেবের ঘাটে সেচ দফতরের বাংলোয়। সেখানেই রাতে থাকবেন তিনি। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির কলেজ পাড়ায় এবিপিসি মাঠে রাজনৈতিক জনসভা করবেন তিনি। এই সভায় জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার, দুই জেলার নেতাকর্মীদের হাজির থাকার কথা।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
আরও পড়ুন: বিজেপি যখন অফিস ভাঙছিল, কোথায় ছিলেন ববি: জিতেন্দ্র
আরও পড়ুন: নড্ডার গাড়িতে হামলার জের, কৈলাসও পেলেন বুলেটপ্রুফ গাড়ি
এই সভা শেষে মঙ্গলবারই কোচবিহারে উড়ে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। কোচবিহারে এসে প্রথমে তিনি কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজের স্থায়ী ভবনের উদ্বোধন করবেন। সেখান থেকেই তিনি নারায়ণী ব্যাটেলিয়ানের উদ্বোধন করবেন। এ ছাড়া কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী মদনমোহন মন্দিরে যেতে পারেন মমতা। এর পর সার্কিট হাউসে যাবেন। সেখানে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করার কথা। এই বৈঠকে জেলার নেতা-নেত্রীদের মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দল মেটাতে বার্তা দিতে পারেন তৃণমূল নেত্রী। এর পর বুধবার দুপুরে কোচবিহার রাসমেলা ময়দানে তিনি একটি কর্মিসভায় যোগ দেবেন। এই সভায় মমতা কী বার্তা দেন, তার দিকেও নজর থাকবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।