এ বার দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যাল হবে লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন। — ফাইল চিত্র।
দুর্গাপুজোয় রাজ্যের বারোয়ারিগুলির জন্য রাজ্য সরকারের অনুদান ঘোষণার দিনেই পুজোর নির্ঘণ্টও জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, এ বার পুজো কমিটিগুলি প্রতিমা বিসর্জনের সময় পাবে তিন দিন। ছাড় শুধু মাত্র যে সব পুজো কার্নিভ্যালে সুযোগ পাবে, তাদের জন্য।
এ বার পুজো শুরু হচ্ছে ২০ অক্টোবর। সে দিন ষষ্ঠী। যদিও কলকাতায় তো বটেই, জেলায় জেলায় ইদানীং চতুর্থী থেকেই মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ঢল নামে। মমতা মঙ্গলবার বলেন, ‘‘এখন তো মহালয়া থেকে পুজো এসে যায়।’’ এ বার মহালয়া ১৪ অক্টোবর। সে দিন থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা যাওয়া শুরু হয়ে যাবে। পঞ্জিকা অনুযায়ী দশমী তিথি অর্থাৎ ২৪ অক্টোবর বিসর্জন। মমতা জানিয়েছেন, দশমী থেকে দ্বাদশী অর্থাৎ ২৪, ২৫ ও ২৬ তারিখের মধ্যে রাজ্যের সর্বত্র প্রতিমা বিসর্জন হবে। তবে কার্নিভ্যালে সুযোগ পাওয়া পুজো কমিটিগুলি ছাড় পাবে। কলকাতায় কার্নিভ্যাল হবে ২৭ অক্টোবর অর্থাৎ লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন।
সোমবার কলকাতায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যের পুলিশ, প্রশাসন এবং পুজো উদ্যোক্তদের নিয়ে বৈঠক করেন মমতা। সেখানেই তিনি পুজো নিয়ে কিছু বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন। বিসর্জনের দিনের নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষ নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বলে দেন, বিসর্জনের জায়গায় আলো ও ব্যারিকেডের ব্যবস্থাপনায় বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে। পুজোর সময় জরুরি পরিস্থিতির জন্য চিকিৎসক, নার্স, অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা এখন থেকেই করে রাখতে হবে জেলায় জেলায়। এর জন্য বেসরকারি চিকিৎসা সংস্থার সাহায্যও নেওয়া যাবে। পুজোর সময় যেন সরকারের সব হেল্পলাইন নম্বর কার্যকর থাকে, সেটা দেখতে হবে। অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থাতেও নজর রাখতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবারের বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্য মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যই। সেখানে ফিরহাদ হাকিম থেকে জাভেদ খানের পুজোর কথা বলেন মমতা। তবে বেশি করে বলেন দমকল দফতরের মন্ত্রী সুজিত বসুর কথা। প্রসঙ্গত, লেকটাউন এলাকায় ভিআইপি রোডের কাছে শ্রীভূমির পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা সুজিত। কলকাতার পুজোর মধ্যে শ্রীভূমিকে নিয়ে প্রতি বছরই আলাদা আকর্ষণ থাকে। এই বছর সেখানে ‘ডিজ়নিল্যান্ড’ থিম হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। মমতা মঙ্গলবার সুজিতকে সতর্ক করে বলেন, ‘‘সুজিত, তুমি বিমানবন্দরের রাস্তা নিয়ে বেশি দুষ্টুমি করবে না। খেয়াল রেখো, ওই রাস্তায় যাতে যানজট না হয়।’’ মজার ছলেই মমতা বলেন, ‘‘ওই রাস্তা যদি ব্লক হয়, তবে আমি সুজিতকেও ব্লক করে দেব।’’ একই সঙ্গে জানান, যাতে বেশি দর্শনার্থী তাঁর পুজো দেখতে যান, তা নিশ্চিত করতে সুজিত একটু ‘চালাকি’ করেন। সেটা তিনি বোঝেন বলেও জানান মমতা।