ছবি: সংগৃহীত।
যুব কংগ্রেসের পরে এ বার ছাত্র পরিষদ! ফের মারামারির অভিযোগ উঠল বিধান ভবন চত্বরেই। ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি সৌরভ প্রসাদ ও তাঁর সমর্থকদের অভিযোগ, সংগঠনেরই অন্য এক দল বৃহস্পতিবার বিধান ভবন চত্বরে তাঁদের মারধর করেছেন। অন্য গোষ্ঠী অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। যুব এবং তার পরে ছাত্র— দলের একের পর এক শাখা সংগঠনে গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বের এমন প্রকট চেহারায় ক্ষুব্ধ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।
বিধান ভবনে এ দিন ছাত্র পরিষদের রাজ্য কমিটির বৈঠক ছিল। তখনই সংগঠনের সভাপতি ও তাঁর সমর্থকদের উপরে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা হয়েছে বলে ছাত্র পরিষদেরই একাংশের অভিযোগ। লোকসভা ভোটে এ বার বনগাঁ সংরক্ষিত আসন থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী করা হয়েছিল সৌরভকে। হেরে যাওয়ার পরে সৌরভ কেন ছাত্র পরিষদের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেবেন না, সেই প্রশ্ন তুলে সামাজিক মাধ্যমে সরব হয়েছিলেন সংগঠনের এক দল কর্মী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র যদি বিপর্যয়ের দায় নিয়ে ইস্তফা দিতে চাইতে পারেন, তা হলে ছাত্র পরিষদে কেন অন্যথা হবে, এই ছিল তাঁদের প্রশ্ন। হামলার ঘটনায় অভিযোগের তির সেই অংশের দিকেই।
ঘটনাচক্রে, ওই ছাত্র-কর্মীরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পুত্র রোহন মিত্রের অনুগামী বলে পরিচিত। হামলা ও মারামারির ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রোহন অবশ্য বলেছেন, ‘‘যা খুশি অভিযোগ করলেই তো হয় না! কিছু তো প্রমাণ দিতে হবে। বিধান ভবনে ১৬টা ক্যামেরার মধ্যে কোনওটায় এমন কোনও ঘটনা ধরা পড়ে থাকলে তার ভিত্তিতে অভিযোগকারীরা কথা বলতে পারেন। বারবার কিছু অভিযোগ করে নির্দিষ্ট কয়েক জনের নাম জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।