তৃণমূলকে বিজেপির ‘তাঁবেদার’ বলে আক্রমণ কংগ্রেসের। প্রতীকী ছবি।
নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর ৭২ ঘণ্টা পরেও সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তরজা অব্যাহত। রবিবার কংগ্রেসকে বিজেপির ‘বি টিম’ বলে কটাক্ষ করল তৃণমূল। পাল্টা তৃণমূলকে বিজেপির ‘তাঁবেদার’ বলে আক্রমণ কংগ্রেসের।
সাগরদিঘির উপনির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর থেকেই রাজনৈতিক তরজা চলছিল। বিরোধীরা দাবি করছিল, তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের জনমত দিয়েছেন। পাল্টা তৃণমূলের বক্তব্য ছিল, বিজেপি তাদের ভোট বাম-কংগ্রেসকে ‘উপহার’ দিয়েছে। এই আবহেই এদিন আরও একবার মুখ খোলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। কুণাল বলেন, “দেশের কোথাও কংগ্রেসের ক্ষমতা নেই বিজেপির সঙ্গে লড়াই করার। বাংলায় ওরাই বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করছে। আগে ওরা অপশাসন ভুলে সিপিএমের বি টিম হয়েছিল। এখন বিজেপির বি টিম হয়েছে।” পাল্টা কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “তৃণমূল লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিজেপির তাঁবেদারী করে। ওঁরা(তৃণমূল) যতই এসব বলুন, বাংলার শিশুরাও জানে তৃণমূল-বিজেপির ‘সেটিংয়ের’ কথা।”
এদিকে এদিন সকালেই মহিষাদলে শুভেন্দু দলীয় কর্মীসভায় সাগরদিঘির ফল নিয়ে বলেন, “সংখ্যালঘুরা উল্টে দিয়েছে। তৃণমূল হারায় আমি খুশি।” প্রত্যুত্তরে কুণাল বলেন, “শুভেন্দুর এত বড়বড় কথা কোথা থেকে আসে। ২০২১ সালে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন হয়েছে, সেখানে বিজেপি গোহারা হেরেছে। একটা উপনির্বাচনে বিচ্ছিন্ন ভাবে তৃণমূল হেরেছে। তাই নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব নিশ্চই গুরুত্ব দিয়ে দেখবে। কিন্তু বিজেপির কী অবস্থা? ওদের তো ভোট আরও কমেছে।” যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এদিন সন্ধ্যায় ভারতীয় জাদুঘরের আশুতোষ শতবর্ষ প্রেক্ষাগৃহে বসন্ত উৎসবের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে মন্তব্য করেন, “আমরা মনমরা বা উৎসাহিত কিছুই হইনি। তৃণমূল চেষ্টা করছে বাম-কংগ্রেসকে উজ্জীবিত করতে। কিন্তু মানুষের ভরসা বিজেপির প্রতিই।”