কলেজ স্কোয়্যার থেকে একটি মিছিল যুব মোর্চা সভাপতি ইন্দ্রনীলের নেতৃত্বে এস এন ব্যানার্জি রোড হয়ে পৌঁছয় ধর্মতলা। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপির রাজভবন অভিযান ঘিরে তুমুল অশান্তি বাধল ধর্মতলা চত্বরে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, হাতাহাতির পাশাপাশি একটা সময় ভেঙে ফেলা হল ব্যারিকেডও। শুক্রবার রাজ্যপালের বাসভবনের অদূরে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে এই ঘটনা ঘটে বিকেল ৪টে নাগাদ। যার জেরে গ্রেফতার করা হল বিজেপির যুবমোর্চা রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ-সহ ৪৩ জনকে।
কালিয়াগঞ্জের নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকার প্রতিবাদে কলকাতায় রাজভবনে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপির যুব মোর্চা। কলেজ স্কোয়্যার থেকে একটি মিছিল যুব মোর্চা সভাপতি ইন্দ্রনীলের নেতৃত্বে এস এন ব্যানার্জি রোড হয়ে পৌঁছয় ধর্মতলা। মিছিলের পুরভাগে ছিলেন কলকাতা উত্তররে বিজেপি জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষও।
তমোঘ্ন বলেছেন, ‘‘ধর্মতলার মোড়ে কালিয়াগঞ্জের ঘটনার প্রতিবাদে নারীদের সুরক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের নারী এবং শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। তার পর সেখান থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ হয়ে রাজভবনের দিকে এগোচ্ছিল আমাদের মিছিল। কিন্তু পুলিশ ওখানেই আমাদের মিছিলকে আটকে দেয়। মিছিল থামিয়ে শুধু ডেপুটেশন জমা দেওয়ার জন্য ৫ জন প্রতনিধিকে ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ সেই অনুরোধও রাখেনি। তারপরেই আমাদের নেতা-কর্মী এবং ১৩ জন মহিলা সদস্য-সহ ৪৩ জনকে গ্রেফতার পুলিশ।’’
ঘটনাস্থলের ভিডিয়ো ফুটেজে যদিও দেখা গিয়েছে, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি চলছে বিজেপি যুব মোর্চার কর্মীদের। পরে পুলিশের দেওয়া ব্যারিকডে ভাঙতেও দেখা গিয়েছে বিজেপির যুব মোর্চার কর্মীদের।