সুজাপুরের ঘটনায় ভস্মীভূত গাড়ি। -নিজস্ব চিত্র।
ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে বুধবার মালদহের সুজাপুরে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, যে ভাবে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল এলাকা, তার পিছনে কারা রয়েছে তা জানার জন্য সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিল নবান্ন। এ জন্য পুলিশের এক উচ্চ পদাধিকারিকের অধীনে একটি বিশেষ দল গঠন করা হচ্ছে। সিআইডি-র ওই বিশেষ দলটিই ওই দিন পুলিশের উপর হওয়া হামলা এবং পাল্টা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের যে ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে, সেই দু’টি ঘটনারই তদন্ত করবে বলে জানা গিয়েছে।
বুধবার দেশ জুড়ে ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যেই বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তি হয়েছে। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির তৈরি হয়েছিল মালদহের সুজাপুরে। সেখানে রাস্তা অবরোধ করে থাকা কয়েক হাজার মানুষকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে সরাতে গেলে প্রথমে বচসা, তার পর হাতাহাতি শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে। এর পরই পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুলিশেরঅন্তত ছ’টি গাড়ি, ভাঙচুর করা হয় পুলিশ এবং রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক গাড়িতে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় সরকারি বাসও। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাল্টা পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস এবং রবার বুলেট পর্যন্ত চালাতে হয়। জেলার এক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক জানান, শুধু ইট এবং রাস্তার পাথর নয়, পুলিশকে লক্ষ্য করে নাকি বোমা এবং গুলিও ছোড়া হয় জমায়েত থেকে।
ওই দিনই আবার গাড়ি ভাঙচুরের একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা গিয়েছে পুলিশ ও র্যাফের উর্দি পরা কয়েকজন কিছু বেসরকারি গাড়ি ভাঙচুর করছে। তারপরই জেলার এসপি অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছিলেন, অনেক দূর থেকে ভিডিয়োটা তোলা বলে কারও মুখচোখ দেখা যাচ্ছে না। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বুধবার রাত পর্যন্ত অবশ্য এই দুই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।
আরও পড়ুন: নিউটাউনে জানলার এসি খুলে ১৩ তলা থেকে ঝাঁপ চিকিত্সকের, উত্তর খুঁজছে পুলিশ
আরও পড়ুন: গাড়ি ভাঙছে পুলিশ! ধর্মঘটে মালদহের ভিডিয়ো ভাইরাল
বৃহস্পতিবার সকালেই দুই ঘটনার তদন্তের জন্য বিশেষ দল গঠন করার কথা ঘোষণা করল নবান্ন।