প্রতীকী ছবি।
হুগলির চুঁচুড়ায় ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল তিন জন। পরে জানা যায়, তাদের মধ্যে দু’জন— গুড্ডু কুমার ওরফে ধর্মেন্দ্র এবং বিট্টু কুমার ওরফে ছোটু আসানসোলেও ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত। পুলিশি সূত্রের খবর, ওই ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য আজ, মঙ্গলবার আসানসোল আদালতে আবেদন করবে সিআইডি। চন্দননগরের ঘটনায় ওই দু’জন এখন জেল হাজতে রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ২১ সেপ্টেম্বর ভরদুপুরে চন্দননগর কমিশনারেটের চুঁচুড়া থানা এলাকার একটি স্বর্ণ-ঋণ সংস্থার অফিসে নগদ টাকা ও গয়না লুট করতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা এবং পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় তিন দুষ্কৃতী। তিন জনেই এখন জেলে আছে। তদন্তে নেমে সম্প্রতি সিআইডি জানতে পেরেছে, তিন জনের মধ্যে দু’জন ওই ঘটনার ১০ দিন আগে আসানসোল দক্ষিণ থানা এলাকার জিটি রোডে একটি স্বর্ণ-ঋণ সংস্থায় কয়েক কোটি টাকার সোনা লুটের সঙ্গে জড়িত। তৃতীয় দুষ্কৃতী টিটাগড়ের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় জড়িত বলে আগেই জানতে পেরেছিলেন তদন্তকারীরা। সিআইডি জানায়, আসানসোলের ওই স্বর্ণ-ঋণ সংস্থায় ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত গুড্ডুর বাড়ি বিহারের শেকপুরায় আর বিট্টু বিহারের বেউর জেলার বাসিন্দা।
গোয়েন্দারা জানান, ১১ সেপ্টেম্বর মাস্ক পরে আসানসোলের ওই সংস্থায় ঢুকেছিল চার দুষ্কৃতী। মারধর করে তারা প্রায় আট কোটি সোনা নিয়ে চম্পট দেয়। সিআইডি-র দাবি, ওই চার জনের মধ্যে ছিল বিট্টু ও গুড্ডু। দলে আর কারা ছিল, তা জানতেই ওই দুই ধৃতকে জেরা করা প্রয়োজন।
সিআইডির একটি অংশের দাবি, বিহারের একটি গ্রুপ গোটা দেশে দুষ্কর্ম করে বেড়াচ্ছে। কখনও স্বর্ণ-ঋণ সংস্থার অফিসে হামলা, কখনও ‘সুপারি কিলার’ হিসেবে কাজ করে তারা। এর আগে বর্ধমান ও শিলিগুড়িতে দু’টি স্বর্ণ-ঋণ সংস্থার অফিসে ডাকাতির ঘটনায় চেন্নাই থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। সেই তিন জনও সেখানে স্বর্ণ-ঋণ সংস্থার অফিসে ডাকাতির পরে ধরা পড়ে যায়। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, বিহারের ওই দলটি কখনওই বসে থাকে না। দেশের কোনও না-কোনও প্রান্তে অপরাধ করছে বা দুষ্কর্মের ছক কষছে তারা।