শাহজাহান শেখ। —ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালিকাণ্ডে ধৃত শাহজাহান শেখকে নিয়ে ভবানী ভবন থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে গেলেন রাজ্যের গোয়েন্দারা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সেখানে শাহজাহানের স্বাস্থ্যপরীক্ষা চলছে। অন্য দিকে, সিবিআই ভবানী ভবনে অপেক্ষায় রয়েছে ওই নেতাকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ ছিল, বুধবার সওয়া ৪টের মধ্যে শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর করতে হবে। সেই নির্দেশ মেনে সাড়ে ৩টে নাগাদই ভবানী ভবনে পৌঁছে যান সিবিআই আধিকারিকেরা। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। কিন্তু আদালতের দেওয়া সময় পার হয়ে গেলেও শাহজাহানকে নিয়ে ভবানী ভবন থেকে বেরোতে দেখা যায়নি সিবিআইকে। যার প্রেক্ষিতে রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। তার মধ্যে বিকেলে ভবানী ভবনের পিছনের একটি গেট দিয়ে শাহজাহানকে নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে চলে যায় সিআইডি। মনে করা হচ্ছে, হস্তান্তর প্রক্রিয়ার আগে নিয়ম মেনে শাহজাহানের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হচ্ছে। হাসপাতালের একটি সূত্রে খবর, সন্ধ্যার সময় শাহজাহানের বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা করানোর পর তাঁকে নিয়ে বেরিয়ে যায় সিআইডি। অন্য দিকে, ভবানী ভবনে ঠায় অপেক্ষায় সিবিআই।
এর আগে মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআইয়ের হাতেই তুলে দিতে হবে শাহজাহানকে। ওই নির্দেশ পাওয়ার পর পরই ভবানী ভবনে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষণ পর শাহজাহানকে না-নিয়েই ফিরতে হয় তাঁদের। সূত্রের খবর, সিআইডির গোয়েন্দারা জানান, হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য। তাই এই মামলাটি বিচারাধীন। যদিও মঙ্গলবার প্রথমে রাজ্যের দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ হয় আদালতে। তার পর বুধবারও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় প্রয়োজনে প্রধান বিচারপতির কাছে এ নিয়ে আবেদন জানাতে পারে রাজ্য। ঘটনাক্রমে রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। বুধবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, বিকেলেই সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে শাহজাহানকে। কিন্তু আদালতের দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও শাহজাহানের হস্তান্তর কেন হল না, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।