ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিমের দেহ শনাক্তকরণে এ বার ডিএনএ পরীক্ষা করবে সিআইডি। প্রশাসনের খবর, ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য সাংসদের স্ত্রী,মেনে এবং ভাইকে কলকাতায় আসতে বলা হয়েছে। নির্দিঃ সময় না দেওয়া হলেও জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহেই তাঁদের আসতে বলেছেন সিআইডি কর্তারা।
এ ব্যাপারে নবান্নে চিঠিও পাঠিয়েছেন তদন্তকারীরা। নবান্ন থেকে বিদেশ মন্ত্রকের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। সে দেশের সরকার সিআইডির চিঠি সাংসদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেবে।
নিউ টাউনের একটি আবাসনে বাংলাদেশের সাংসদকে খুন করার পর তাঁর হাড় ও মাংস কুচি-কুচি করে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে কিছু সম্ভাব্য দেহাংশ উদ্ধার করেছে সিআইডি। কিন্তু তা আদৌ সাংসদের দেহাংশ কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতেই ডিএনএ পরীক্ষা প্রয়োজন বলে সিআইডির দাবি। রাজ্য পুলিশের এক আধিকারিক জানান, সাংসদের খুনের সিআইডি অতিমাত্রায় গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই ডিএনএ নমুনার পাশাপাশি তাঁর পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করাও প্রয়োজন। তাই আজিমের পরিবার কলকাতায় এলে তাঁদের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলবেন তদন্তকারীরা।
১২ মে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে আসেন বাংলাদেশের সাংসদ। উঠে ছিলেন বরাহনগরের এক পরিচিতের বাড়িতে। পরের দিন হাসপাতালে যাওয়ার কথা বলে বেরোন। তার পরেই তিনি নিখোঁজ। ১৮ মে ওই পরিচিত স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। থানা ও রাজ্য পুলিশের এসটিএফ তদন্তে নেমে জানতে পারে যে নিউ টাউনের ওই আবাসনে গিয়েছিলেন স্যাংসদ। সেখানে তাঁকে খুন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিতও করা হয়।
তদন্তভার সিআইডি নেয় ও প্রথমেই খুনে অভিযুক্ত জিহাদ হাওলাদার নামে এক কসাইকে গ্রেফতার করে। ধৃত সিয়াম হোসেন নামে আরও একজন। বাংলাদেশ পুলিশ সে দেশেও কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে। খুনের মূল চক্রী আখরুজ্জামান ওরফে শাহিন-সহ দু'জন এখনও ফেনার। শাহিন আমেরিকার বাসিন্দা বলে পুলিশের দাবি।