তাজম্মুল ইসলাম। —নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় বামেদের মিছিলে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় এক সিপিএম নেতার মৃত্যুও হয়েছিল। সেই ঘটনায় গ্রেফতারও হয়েছিলেন তাজিমুল ইসলাম ওরফে ‘জেসিবি’। চোপড়ায় যুগলকে নিগ্রহের ভিডিয়ো (সেটির সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি) নিয়ে শোরগোলের আবহে পঞ্চায়েতে গুলিকাণ্ডও প্রকাশ্যে চলে এল।
তরুণ-তরুণীকে নিগ্রহের ভিডিয়ো রবিবারই প্রকাশ্যে আসে। ভিডিয়োয় দেখা যায়, কঞ্চির ছড়া দিয়ে এক তরুণীকে এলোপাথাড়ি মারছেন তাজিমুল। ওই ভিডিয়ো পোস্ট করে তৃণমূলকে নিশানা করতে শুরু করে বিরোধীরা। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়। এর পরেই তাজিমুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার তাঁকে ইসলামপুর আদালতে হাজির করানো হয়। এ সবেই মধ্যে বিরোধীরা দাবি করতে শুরু করে, অতীতেও একাধিক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাজিমুল। শুধুমাত্র শাসকদলের নেতা হওয়ায় প্রতি বার তিনি ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন। সিপিএমের দাবি, গত পঞ্চায়েত ভোটের সময় তাদের মিছিলে গুলি ছোড়ার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত তাজিমুলই ছিলেন। তাঁকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছিল। কিন্তু দিন পনেরোর মধ্যেই ছাড়া পেয়েছিলেন জেসিবি।
উত্তর দিনাজপুরে কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি মাসিরুদ্দিন বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে চোপড়ায় জোটের মিছিলে গুলি চালিয়েছিল তাজিমুলই। ও-ই সামনে দাঁড়িয়ে গুলি চালিয়েছিল। এক সিপিএম নেতা মারা গিয়েছিলেন। অনেকে জখম হয়েছিলেন।’’ গুলিকাণ্ডে যে তাজিমুল গ্রেফতার হয়েছিলেন, তা স্বীকার করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়নের শেষ দিনে মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন বাম ও কংগ্রেস জোটের প্রার্থীরা। সেই মিছিলে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জোটের দাবি ছিল, ওই ঘটনাতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন মনসুর নইমুল নামে এক সিপিএম কর্মী।
(চোপড়ার ঘটনায় ধৃত তাজিমুলের নাম আমরা ‘তাজম্মুল’ লিখছিলাম। এফআইআরে তাঁর নাম ‘তাজিমুল’ বলে উল্লিখিত আছে। আমরা সেই নামই লিখছি)