প্রতীকী ছবি।
বিষক্রিয়ার ফলে মৃত্যু হয়েছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্রীর। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আসার পর এমনটাই মনে করছে পুলিশ। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে রবিবার ওই কিশোরীর দেহের ময়নাতদন্ত হয়। এবং তার ভিডিয়োগ্রাফিও করা হয়। কিশোরীর দেহে কোনও আঘাত বা যৌন হেনস্থার চিহ্নও মেলেনি বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
অন্য দিকে, রাজ্য পুলিশের দাবি, কিশোরীর মৃত্যু সম্পর্কে পরিবার পুলিশকে কিছু জানায়নি। পুলিশই খবর পেয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেনি ওই কিশোরীর পরিবার। তবে এই মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাঁরা বাসে আগুন লাগিয়েছে, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
কিশোরীর মৃত্যুকে ঘিরে এ দিন সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চোপড়া। অভিযোগ ওঠে, কিশোরীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে। কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: গ্রাম কেশবপুর, জঙ্গি আয়েশা ওরফে প্রজ্ঞার খোঁজে এবিপি ডিজিটাল
এই ঘটনার পরই অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের মতো ঘটনাও ঘটে। বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিক উত্তীর্ণকে ধর্ষণ-খুনের অভিযোগ, বাসে আগুন, অবরোধে অগ্নিগর্ভ চোপড়া