—প্রতীকী চিত্র।
কলেজের পরীক্ষা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল মহিষাদলে। সোমবার হলদিয়া ল কলেজের পরীক্ষা ছিল মহিষাদল রাজ কলেজে। সেখানে দুই কলেজের পড়ুয়াদের মধ্যে বচসা ও পরে তা থেকে হাতাহাতির জেরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। সাত জন জখম হন গোটা ঘটনায়।
পাঁচ দিন ধরে রাজ কলেজে ল কলেজের পড়ুয়াদের পরীক্ষা চলার কথা। সোমবার থেকে তা শুরু হয়েছে। আর প্রথম দিনেই গন্ডগোলে জড়ালেন দুই কলেজের পড়ুয়ারা। রাজ কলেজের পড়ুয়াদের অভিযোগ, ল কলেজের পড়ুয়াদের টুকলিতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। সকালে কলেজে পরীক্ষা দিতে ঢোকার সময়েই অনেকের কাছ থেকে টুকলির কাগজ উদ্ধার করেন অধ্যাপকেরা। পরে পরীক্ষা চলাকালীনও বেশ কয়েক জনকে পাকড়াও করা হয়। খাতা কেড়ে নেওয়া হয় তাঁদের। সেই রাগ থেকেই পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর কলেজের গেটে বিক্ষোভ দেখান ল কলেজের পড়ুয়ারা। দ্বিতীয়ার্ধের পরীক্ষাতেও বাধা দেন তাঁরা। শুধু তা-ই নয়, রাজ কলেজের ছাত্র সংসদের উপরেও হামলা চালানো হয়েছে। পাল্টা ল কলেজের পড়ুয়াদের দাবি, পরীক্ষা চলাকালীন ছাত্র সংসদের কয়েক জন ক্লাসে ঢুকে ‘দাদাগিরি’ করেছেন।
দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ আসে। পুলিশ সূত্রে খবর, হাতাহাতিতে জনা সাতেক পড়ুয়া জখম হন। ল কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সঞ্জয়কুমার দাসকে তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। অনিরিৎ নামে আর এক ছাত্রকে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে ছাত্ররা জানিয়েছেন। ল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, রাজ কলেজের ইউনিয়ানের যাঁরা হামলা চালিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ঝামেলার জেরে কলেজে দ্বিতীয়ার্ধের পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়।
হলদিয়া ল কলেজের অধ্যক্ষ সমিতকুমার মাইতি দত্ত বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্ট্রোলার অফ এগজ়ামিনেশনকে জানানো হয়েছে। তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী আগামিকালের পরীক্ষা পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরাও আগামীকাল মহিষাদলে আসবেন। কলেজে পুলিশের সুরক্ষা আরও বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আজ যে সেমেস্টারের পরীক্ষা বাতিল হল, তা অন্য কোনও দিন আয়োজন করার বিষয়টি নিয়েও আবেদন জানানো হয়েছে।’’