(বাঁ দিকে) আরজি করে ‘গণইস্তফা’ দিচ্ছেন সিনিয়র চিকিৎসকেরা এবং মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশনকে সংহতি জানিয়ে মঙ্গলবার আরজি করের ৫০ জনের বেশি সিনিয়র ডাক্তার ইস্তফা দিয়েছেন। নাটকীয় সেই ‘গণইস্তফা’ সম্পর্কে মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বলেন, ‘‘আমাদের কাছে কিছু আসেনি।’’ তিনি জানান সরকারি ভাবে কিছুই হয়নি।
মঙ্গলবার সকালে আরজি করের চিকিৎসকদের ‘গণইস্তফা’র খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। ‘গণইস্তফা’র কিছু ক্ষণ পরেই কলকাতা মেডিক্যালেও ‘গণইস্তফা’র হুঁশিয়ারি দেন সিনিয়র ডাক্তারেরা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জুনিয়রদের দাবি পূরণ না হলে, তাঁরাও ‘গণইস্তফা’ দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কলকাতা মেডিক্যালের সিনিয়রেরা। শুধু তাঁরা নয়, আগামী দিনে এসএসকেএম-সহ অন্য হাসপাতালের চিকিৎসকেরাও সেই পথে হাঁটতে পারেন বলেও জল্পনা শুরু হয়। অনেকের আশঙ্কা, একসঙ্গে সিনিয়র চিকিৎসকেরা ‘গণইস্তফা’ দিলে রাজ্যের স্বাস্থ্য কাঠামো ভেঙে পড়তে পারে। সেই আবহেই নবান্নে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যসচিব এবং রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। ছিলেন জেলার অন্যান্য সরকারি হাসপাতালের অধিকর্তা, সুপার, আধিকারিকেরা।
অনেকেই মনে করেছিলেন স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, তা নিয়েই আলোচনা করতে এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠক শেষে চিকিৎসকদের ‘গণইস্তফা’ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যসচিব বলেন, ‘‘সংবাদমাধ্যমেই দেখেছি চিকিৎসকেরা গণইস্তফা দিয়েছেন। তবে আমাদের কাছে এ সংক্রান্ত কোনও কিছু এসে পৌঁছয়নি।’’
নবান্ন সূত্রে খবর, সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়ার কিছু নিয়ম আছে। সেই নিয়ম মোতাবেকই ইস্তফা দিতে হয়। কেউ ইস্তফা দিতে চাইলে হুট করে তা করতে পারেন না। অনেকগুলি পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে তাঁকে যেতে হয়। সেই পদ্ধতি না মানলে ইস্তফা গৃহীত হয় না। চিকিৎসকদের গণইস্তফা নিয়ে তাই এখনই কোনও মন্তব্য করতে নারাজ নবান্ন।
সরকারি সূত্রে আরও খবর, মঙ্গলবারের বৈঠকে চিকিৎসকদের ‘গণইস্তফা’ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্প নিয়ে কথা হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোন কোন হাসপাতালে কী চিত্র, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। হাসপাতালের নিরাপত্তার বিষয়েও কোথায় কোথায় ঘাটতি আছে, তা-ও উঠে এসেছে মঙ্গলবারের বৈঠকে।