Nabanna

পিএমইউকে তথ্য দিতে বাধ্য জেলা প্রশাসনও, চর্চায় পঞ্চায়েত সচিবের ক্ষমতা

নবান্ন জানিয়েছে, জরুরি প্রকল্পগুলি সময়ের মধ্যে, ঠিক ভাবে বাস্তবায়িত করতে গেলে বিভিন্ন দফতর, জেলা প্রশাসন, প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বে থাকা সংস্থার মধ্যে সমন্বয় জরুরি।

Advertisement

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৪ ০৭:৫১
Share:

—প্রতীকী ছবি।

জল্পনা চলছিলই। শেষ পর্যন্ত মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা লিখিত ভাবে প্রশাসনের সর্বস্তরকে জানিয়ে দিলেন, প্রকল্প নজরদারিতে ‘প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট’ (পিএমইউ) গঠনের কথা। নবান্নের সর্বোচ্চ মহল বুঝিয়ে দিয়েছে, শুধু দফতরগুলিই নয়, চাহিদা মতো পিএমইউ-কে তথ্য পাঠাতে এবং সহযোগিতা করতে কার্যত বাধ্য থাকবে সব জেলা প্রশাসনও।

Advertisement

প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, রাজ্য মন্ত্রিসভার গত বৈঠকে পিএমইউ গঠনের প্রস্তাব পাশ হয়েছিল। খুব সম্প্রতি মুখ্যসচিবের লিখিত বার্তায় বলা হয়েছে, পঞ্চায়েত সচিব পি উলাগানাথনই পিএমইউ-কে নেতৃত্ব দেবেন। সেই শাখার বাকি আধিকারিকদের নিয়োগ করবে কর্মীবর্গ এবং প্রশাসনিক সংস্কার (পার) দফতর।

নবান্ন জানিয়েছে, জরুরি প্রকল্পগুলি সময়ের মধ্যে, ঠিক ভাবে বাস্তবায়িত করতে গেলে বিভিন্ন দফতর, জেলা প্রশাসন, প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বে থাকা সংস্থার মধ্যে সমন্বয় জরুরি। তাই প্রত্যেক দফতর, জেলা প্রশাসন এবং সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নির্বাচিত প্রকল্পগুলির গতি, সমস্যা, মানুষের অভিযোগ, সমস্যার সমাধান, প্রকল্পের কার্যকারিতা — সবই দেখভাল করবে পিএমইউ। দ্রুত কাজের স্বার্থে তথ্য সংগ্রহ করে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে তারাই। প্রকল্পগুলির অবস্থা এবং কার্যকারিতা মূল্যায়ন করে সরকারকে রিপোর্টও দেবে পিএমইউ।

Advertisement

প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে মনে করছেন, এর ফলে সব দফতর এবং জেলা প্রশাসনগুলির কাজের মূল্যায়ন কার্যত নির্ভর করবে পিএমইউ-এর উপরেই। আধিকারিকদের একাংশের প্রশ্ন, তবে কি পঞ্চায়েত সচিবের উপরে কিছুটা হলেও নির্ভর করে থাকতে হবে বাকি দফতরগুলির সচিব এবং জেলা প্রশাসনগুলিকে। কাজের গুণমান ঠিক না হলে দায় বর্তাবে কার উপর? আবার স্বয়ং মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একই লক্ষ্যে তৈরি ‘সমন্বয় পোর্টাল’-এর ভবিষ্যৎ কী হবে, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও।

সূত্রের দাবি, কয়েক দিন আগেই মুখ্যসচিব প্রত্যেক দফতরের সচিবের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছিলেন, জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করতে হলে আগে থেকে তাঁর অনুমোদন নিতে হবে। বিশ্লেষকদের অনেকের ধারণা, আনুষ্ঠানিক ভাবে পিএমইউ গঠনের তথ্য প্রকাশ করার আগে এই বার্তার তাৎপর্য একেবারে ভিন্ন।

তবে আধিকারিকদের একাংশের দাবি, দফতরের কর্তাদের অনেক কাজ এবং প্রকল্পের দিকে নজর রাখতে হয়। ফলে অতি জরুরি বা বাছাই করা প্রকল্পের নজরদারিতে পৃথক শাখা থাকলে তা কাজের গতি এবং গুণমান বাড়াবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement