মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ১৫ মার্চের সময় চাওয়া হয়েছে প্রকল্প উদ্বোধনের জন্য। আগামী ১৩ মার্চ শেষ হবে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব। তার পর এই প্রকল্পের সূচনা হতে পারে। — ফাইল চিত্র।
ফেব্রুয়ারি মাসের বাজেট অধিবেশনে নতুন রাস্তাশ্রী প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সব ঠিকঠাক চললে মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে শুরু হয়ে যেতে পারে মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত এই প্রকল্প। নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ১৫ মার্চের সময় চাওয়া হয়েছে এই প্রকল্পের উদ্বোধনের জন্য। আগামী ১৩ মার্চ শেষ হয়ে যাবে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব। তার পরেই এই প্রকল্পের সূচনা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক মহলের খবর, ১৫ মার্চ রাস্তাশ্রী প্রকল্পের সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই দিনটিকেই কর্মসূচি সূচনার দিন ধরে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে সর্বস্তরে। রাজ্যের পূর্ত দফতর এই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকবে। নতুন কর্মসূচি শুরু নিয়ে পূর্ত দফতরের ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে।
বাজেট অধিবেশনে জানানো হয়েছিল নতুন রাস্তাশ্রী প্রকল্পের জন্য দশ হাজার কিলোমিটার নতুন রাস্তা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেবে রাজ্য সরকার। রাস্তাশ্রী প্রকল্পের জন্য তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য। বাজেট পুস্তিকায় সে কথা উল্লেখ করেছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পে যেমন নতুন নতুন রাস্তা তৈরি হবে, তেমনই পুরনো রাস্তার সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে। এই প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে গ্রামীণ রাস্তা। যে সব রাস্তা এখনও মোরাম দিয়ে তৈরি রয়েছে সেই সব রাস্তা পাকা করার কথা নতুন এই প্রকল্পে তৈরি করা হবে। তবে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, আগামী মে মাসের পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখেই নতুন এই প্রকল্প চালু করছেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ শাসকদল তৃণমূলের শুরু করা ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি নিয়ে গ্রামীণ জনতার কাছে গিয়ে রাস্তা নিয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষোভের সম্মুখীন হয়েছে জনপ্রতিনিধিরা। তাই এই প্রকল্প মারফত জনতার ক্ষোভের ক্ষতে মলম দিতেই রাস্তাশ্রী প্রকল্পের সূচনা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় রাস্তা নির্মাণ নিয়ে সংঘাত হয়েছে কেন্দ্র-রাজ্যের। এমনকি রাস্তা নির্মাণের পর সেখানে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা কথা উল্লেখ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিষয়টি নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছিলেন। যা নিয়ে বিস্তার জলঘোলা হয়েছিল। তার পর কেন্দ্রীয় বরাদ্দ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি। তাই এ বার যাবতীয় সংঘাত এড়িয়ে রাজ্য সরকারের অর্থই সড়ক নির্মাণের জোর দিতে চাইছে রাজ্য। সেই কারণেই এই প্রকল্পের সূচনা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন এক পূর্ত দফতরের আধিকারিক।