মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। — ফাইল চিত্র।
ঘরের মাঠে আরও এক বার ব্যর্থ চেন্নাইয়ের ব্যাটিং। শুক্রবার হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আগে ব্যাট করে ১৫৪ তুলল তারা। ডেওয়াল্ড ব্রেভিস বাদে কেউ বলার মতো ইনিংস খেলতে পারলেন না। হায়দরাবাদের হর্ষল পটেল নিলেন চার উইকেট।
রাচিন রবীন্দ্রকে বসানোয় দুই তরুণ ক্রিকেটারকে দিয়ে ইনিংস শুরু করিয়েছিল চেন্নাই। নেমেছিলেন আয়ুষ মাত্রে এবং শেখ রশিদ। প্রথম বলেই রশিদকে তুলে নেন মহম্মদ শামি। নিখুঁত সিমে বল রেখেছিলেন শামি। খোঁচা দেন রশিদ। প্রথম স্লিপে থাকা অভিষেক শর্মা ক্যাচ ধরেন।
তিনে চেন্নাই নামিয়ে দেয় স্যাম কারেনকে। ধরে খেলার চেষ্টা করলেও দীর্ঘ ক্ষণ ক্রিজ়ে থাকার মানসিকতা নিয়ে আসেননি। ১০ বলে ৯ রান করেই হর্ষল পটেলের বলে অনিকেত বর্মার হাতে ক্যাচ দেন। চেষ্টা দেখা গেল আয়ুষের মধ্যে। তরুণ ক্রিকেটারকে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের পরিবর্ত হিসাবে নেওয়া হয়েছে। বিপক্ষের বোলারদের উপর একটা চাপ রাখার চেষ্টা করছিসলেন। তাঁকে তুলে নেন কামিন্স।
চেন্নাইয়ের জার্সিতে এ দিনই অভিষেক হয় ‘বেবি এবি’ নামে পরিচিত ডেওয়াল্ড ব্রেভিসের। হলুদ জার্সিতে প্রথম ম্যাচটাই স্মরণীয় করে রাখলেন তিনি। ঠিক যে কারণে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তিনি পরিচিত, সেটাই করলেন। আগ্রাসী ক্রিকেট খেললেন শুরু থেকেই। যে চাপে চেন্নাই পড়েছিল, সেটা কাটিয়ে দিলেন ব্রেভিস একাই। কামিন্দু মেন্ডিসকে এক ওভারে তিনটি ছয় মারলেন। সেই মেন্ডিসই তাঁর ঘাতক। হর্ষলের বলে ব্রেভিস তুলে মারার পর লং অফে যে ক্যাচটা মেন্ডিস ধরলেন তা অনেক দিন মনে রাখার মতো।
ধোনি এ দিনও নিজেকে উপরে তুলে আনার সাহস দেখাননি। তিনি নামেন সাতে। তত ক্ষণে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে চেন্নাই বেশি রান তুলতে পারবে না। ধরে খেলার চেষ্টা করছিলেন ধোনির। অনভিজ্ঞ স্পিনার জ়িশান আনসারির সহজ বলেও চালিয়ে খেলার ঝুঁকি নেননি। তবে হর্ষলের একটি সহজ বলে পয়েন্টে অভিষেকের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।