২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য রাজ্য বাজেট — ফাইল ছবি।
‘‘এই বাজেট কর্মসংস্থানমুখী বাজেট’’, চন্দ্রিমার বাজেট বক্তৃতার পর বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্য সরকারি কর্মী এবং পেনশনভোগীদের ৩ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেবে রাজ্য সরকার। মার্চ মাস থেকেই বাড়তি মহার্ঘ ভাতা পাওয়া যাবে।
বাড়ি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটির ২ শতাংশ ও জমি, বাড়ির বাজারমূল্যের সার্কল রেটের ১০ শতাংশ ছাড় আরও ছ’মাস বৃদ্ধি করা হল।
বিধায়কদের এলাকা উন্নয়ন প্রকল্প (বিইইউপি) কর্মসূচিতে এলাকা উন্নয়নের খাতে বাৎসরিক ৬০ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০ লক্ষ টাকা করা হবে আগামী অর্থবর্ষ থেকে। এই খাতে বাজেট বরাদ্দ ৩০ কোটি টাকা।
রাস্তাশ্রী প্রকল্পের জন্য তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ। এতে নতুন নতুন রাস্তা তৈরি হবে, পুরনো রাস্তার সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।
যুব সমাজের জন্য ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড শুরু হতে চলেছে। ১৮-৪৫ বছর বয়সি ২ লক্ষ যুবক-যুবতী আর্থিক সহায়তা বাবদ সর্বাধিক ৫ লক্ষ টাকা ঋণ পাবেন। এর ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
বাংলার ১.৮৮ কোটি মহিলা এসেছেন লক্ষ্মীর ভান্ডারের আওতায়। লক্ষ্মীর ভান্ডারের প্রাপকরা ৬০ বছর অতিক্রম করলে সরাসরি বার্ধক্যভাতার আওতায় চলে আসবেন।
বানতলার লেদার কমপ্লেক্সে ইতিমধ্যেই ৩ লক্ষ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী দিনে আরও ২ লক্ষ চাকরি সেখানে তৈরি হবে। বললেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
ডেউচা পাঁচামিতে ৩৫ হাজার কোটি টাকা লগ্নি হচ্ছে। সেখানে ১ লক্ষেরও বেশি যুবক-যুবতীর চাকরি হবে।
খাদ্যসাথী প্রকল্পে যুক্ত করা গিয়েছে রাজ্যের ৯ কোটি মানুষকে: চন্দ্রিমা
কেন্দ্রীয় সরকার লজ্জাজনক ভাবে ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে। তার প্রভাব পড়েছে গরিব মানুষের জীবনে।
‘‘গ্রামীণ আবাস প্রকল্পে আমরা দেশে শীর্ষে’’, বললেন চন্দ্রিমা।
স্টাম্প ডিউটিতে ছাড়ের জেরে উপকৃত হয়েছেন বহু ফ্ল্যাটমালিক। ৪৪ লক্ষ মানুষ অপেক্ষাকৃত কম খরচে ফ্ল্যাট কিনতে পেরেছেন।
সামাজিক সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে নজিরবিহীন উন্নতি করেছে বাংলা। দাবি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের।
স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ঋণ দেওয়া হয়েছে ১৩ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা। যা গোটা দেশে সবচেয়ে বেশি।
স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ঋণদানে বাংলা দেশের সবার শীর্ষে।
আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮.৪১ শতাংশ হবে, জানালেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা।