শনিবারই ঘটনার বিষয়ে রিপোর্টচাওয়া হল নবান্নের তরফে। সূত্রের খবর, রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তা চিঠি লিখে জানতে চেয়েছেন, সেখানে আসলে কী ঘটেছিল? আরও জানতে চাওয়া হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী যখন বারাণসী থেকে রাজ্য সরকারের ভাড়া করা বিমানে ফিরছিলেন,তখন তা ‘এয়ার-পকেট’-এ পড়েছিল কিনা? জানা গিয়েছে,শুধু এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়াকে চিঠি দিয়েই থেমে থাকবে না রাজ্য প্রশাসন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমান বিভ্রাট নিয়ে ‘এয়ারপোর্ট অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া’কে চিঠি নবান্নের। প্রতীকী ছবি
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমান বিভ্রাটের কারণ জানতে ‘এয়ারপোর্ট অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া’-কে চিঠি লিখলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। শুক্রবার বিমান বিভ্রাটে কোমড়ে চোট পান মমতা। এর পরে শনিবারই ঘটনার বিষয়ে রিপোর্টচাওয়া হল নবান্নের তরফে। সূত্রের খবর, রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তা চিঠি লিখে জানতে চেয়েছেন, সেখানে আসলে কী ঘটেছিল? আরও জানতে চাওয়া হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী যখন বারাণসী থেকে রাজ্য সরকারের ভাড়া করা বিমানে ফিরছিলেন,তখন তা‘এয়ার-পকেট’-এ পড়েছিল কিনা? জানা গিয়েছে,শুধু এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়াকে চিঠি দিয়েই থেমে থাকবে না রাজ্য প্রশাসন। রাজ্য প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা বিমান বিভ্রাট নিয়ে কথা বলেছেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের সঙ্গেও।
রাজ্য প্রশাসনের তরফে বিষয়টি নিয়ে বেশি উদ্বেগের কারণ, শুক্রবার কলকাতারআকাশ যথেষ্ট পরিষ্কার ছিল। মেঘ, বৃষ্টি, ঝড় কোনওটাই ছিল না। তা সত্ত্বেও বিমানটি আচমকা একটি ঝঞ্ঝার মুখোমুখি হয়।ফলে পাইলট অত্যন্ত দ্রুততায় উচ্চতা প্রায় পাঁচ হাজার ফুট নামিয়ে আনেন। ফলে প্রবল ঝাঁকুনি ও উথালপাথাল হল বিমানে। বিমানের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সহযাত্রীরা অবশ্য জানতে পেরেছিলেন, তাঁদের বিমানের সামনে অন্য একটি বড় বিমান এসে পড়েছিল। সেটিই হল বিপত্তির কারণ। কিন্তু নবান্নের শীর্ষ কর্তারা এমন উত্তরে সন্তুষ্ট নন। তাঁরা চান ‘এয়ারপোর্ট অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া’ ও অসামরিক বিমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছ থেকে এ বিষয়ে স্পষ্ট জবাব চাইছে নবান্ন। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাট নিয়ে এখনও ‘এয়ারপোর্ট অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া’ বা অসামরিক বিমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কোনও বিবৃতি প্রকাশ্যে আসেনি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার বারাণসী থেকে ফেরার সময় কলকাতায় নামার অল্প আগে মাঝ আকাশে হঠাৎ দুর্বিপাকে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিমান। আকস্মিক এই দুর্যোগে এক লহমায় মুখ্যমন্ত্রীর ছোট বেসরকারি ভাড়া নেওয়া বিমানটি সাত হাজার ফুট থেকে দু’হাজার ফুটে নেমে আসে। সেই সঙ্গে টালমাটালও করতে থাকে। ঘটনায় মমতার কোমরে জোর ব্যথা লাগে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভাড়া করা ‘ফ্যালকন’ বিমানে ইদানীং প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী যাতায়াত করেন। তবে এ দিন যে বিমানটিতে তিনি চড়েছিলেন, নির্দিষ্ট ভাবে সেই বিমানটিতে তিনি এর আগে সফর করেননি। ঘটনাচক্রে বিমানের দুই পাইলট ছিলেন বাবা ও মেয়ে। দুর্যোগ কাটার মিনিট চারেক পরে মুখ্যমন্ত্রীর বিমানটি কলকাতার মাটি ছোঁয়।