নিজস্ব চিত্র
ভারী বৃষ্টিতে রাজ্যের একাধিক নদী এখন ফুঁসছে। জল বেড়েছে জলাধারেও। সব মিলিয়ে বেশ কিছু জেলার বন্যা পরিস্থিতি রোজই বিপদ বাড়াচ্ছে। সেই বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই শনিবার আকাশপথে জেলায় পরিদর্শনে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার তিনি সাংবাদিকদের ফের ম্যান মেড বন্যার কথা বলেন। তিনি অভিযোগ করেন, না জানিয়ে ব্যারাজ থেকে জল ছাড়া পাপ। এটা অপরাধ। সেই কারণেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বানভাসি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলা— হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং বাঁকুড়ায়। এক টানা বৃষ্টিতে ডিভিসি জলাধারে জলের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। কোথাও গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। ডিভিসি জল ছাড়ার পর অজয় নদীতে জল বেড়ে গিয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় বাঁধ ভেঙ্গে জল ঢুকে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত জলমগ্ন ২০ থেকে ৩০ গ্রাম। কয়েকশো বিঘা চাষ জমি এই মুহূর্তে জলের তলায়। নবান্ন সূত্রে খবর, আকাশপথে মুখ্যমন্ত্রী বাঁকুড়া, হাওড়া, পুরুলিয়া ও হুগলি জেলায় বিস্তীর্ণ এলাকা ঘুরে দেখবেন। এর আগে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় যখন বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় তখন বন্যা কবলিত এলাকায় গিয়েও ডিভিসি-কে কটাক্ষ করেছিলেন মমতা। সেখানেও বলেছিলেন, জলাধারে জল ছাড়ার কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
শুক্রবার সকালেই মাইথন জলাধার থেকে ৮০ হাজার কিউসেক এবং পাঞ্চেত থেকে ৫৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। অন্য দিকে, দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে দেড় লক্ষ কিউসেকেরও বেশি জল ছাড়া হয়েছে। প্রবল বৃষ্টি কারণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি মহকুমা এলাকায়। শুক্রবার সকাল থেকে মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর ব্লকের অন্তর্গত কল্লা, ছত্রপুর, গুন্দুরিয়া-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় অনেক গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।