ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
১ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টায় শ্যামবাজার থেকে শোভাযাত্রা হবে। দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দেওয়ায় ইউনেসকো-কে ধন্যবাদ জানিয়ে পথে নামবে কলকাতা। গোটা রাজ্যের মানুষ কেউ উলুধ্বনি, কেউ দোয়া করে শোভাযাত্রাকে সমর্থন জানাবেন। রেড রোডে হবে পুজো কার্নিভালও। ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।
স্বাস্থ্য দফতর খুব ভাল কাজ করেছে। সবাইকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। করোনা পরিস্থিতিতে দুর্দান্ত কাজ হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মুখ্যমন্ত্রী।
দিঘায় নির্মীয়মান জগন্নাথ মন্দিরের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘তাড়াতাড়ি মন্দিরের কাজ শেষ হোক। মন্দির খুললেই আমি প্রথম পুজো দিতে যাব।’’
ডেউচা-পাঁচামিতে জমিদাতাদের সঙ্গে কথা বলেই পুনর্বাসনের প্যাকেজ তৈরি হয়েছে। এটাই দেশের সেরা পুনর্বাসন প্রকল্প। জমিদাতারা পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি সরকারি চাকরিও পাবেন। এ জন্য ৫ হাজারেরও বেশি পদ তৈরি করা হয়েছে। বললেন মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী।
ভোটের অজুহাত দিয়ে সরকারি প্রকল্পের কাজ ফেলে রাখা চলবে না। কন্যাশ্রী প্রকল্পে কলকাতার পিছিয়ে থাকা প্রসঙ্গে বললেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘অনেকেই খুব ভাল কাজ করছেন, কিন্তু কেউ কেউ কাজ করতে চান না। এ বার কাজ করা শিখে নিন।’’ তাঁর নির্দেশ, বিধবাভাতা, বার্ধক্যভাতা ও মানবিকভাতা যোগ্য লোকের হাতে যাচ্ছে কি না তা ভাল করে নজর করতে হবে।
কাজের নিরিখে বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমান কেন পিছিয়ে পড়ছে? প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
প্রাইভেটের নাম করে ‘করে খাওয়া’ হচ্ছে। সীমান্তে ট্রাক টার্মিনাসে টাকার নয়ছয় নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সীমান্ত সংলগ্ন সমস্ত ট্রাক টার্মিনাস নিয়ে নেবে পরিবহণ দফতর। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ট্রাক টার্মিনাসে কেউ কেউ টাকা তুলছেন, এতে ব্যক্তির পকেট ভরলেও সরকারের কোষাগারের কোনও সুবিধা হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘‘এ সব আর চলবে না।’’
যে সব ব্যাঙ্ক স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ করতে চাইছে না, তাদের বাদ দিয়ে সমবায় ব্যাঙ্ককে দায়িত্ব দিন। সরকার গ্যারান্টি দিচ্ছে, টাকা দিতেই হবে। যে সমবায় ব্যাঙ্ক ঋণ দিচ্ছে না, তাদের ডেকে কথা বলুন, নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।
করোনায় রাজস্ব সংগ্রহ কমেছে অনেকটা। কেন্দ্রের থেকে রাজ্যের পাওনা ৯০ হাজার কোটিরও বেশি। এখনও সেই টাকা পাইনি। কোনও অপ্রয়োজনীয় বা বাজেট বহির্ভূত খরচ নয়। সরকারি অর্থ সঞ্চয় হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। মুখ্যসচিব বা অর্থ দফতরের অনুমোদন ছাড়া নতুন প্রকল্প নয়। বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যে ৭২ শতাংশ মানুষকে করোনার দ্বিতীয় টিকা দিয়েছে রাজ্য। এ বার প্রয়োজনমতো বাড়িতে গিয়ে টিকাকরণ। মানুষের মধ্যে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে, এটা ভাল দিক। বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুয়ারে সরকারে যুক্ত হচ্ছে আরও ৬টি দফতর। আগে ছিল ১৮টি দফতর। এ বার থেকে ২৪টি দফতরের কাজের তথ্য তালাশ করা যাবে দুয়ারের সরকারের শিবির থেকেই।
ওপর তলার আধিকারিকরা নীচের দিকে কাজ ঠেলে দেন এবং বলেন কাজ হয়ে গিয়েছে। এটা চরম অবহেলা। নিজের দফতরের কাজের দিকে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নজর দিতে হবে। বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘শুধু পয়সা দিলাম আর মেলা করলাম, এ ভাবে চলবে না। কাজ করতে হবে।’’
বুধবার এই নেতাজি ইন্ডোরেই তৃণমূলের চেয়ারপার্সন হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার এক দিন পরেই সেই নেতাজি ইন্ডোরেই রাজ্যের পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন তিনি। সেখানে আধিকারিকদের কাছ থেকে সামগ্রিক ভাবে করোনা পরিস্থিতি থেকে শুরু করে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের গতিপ্রকৃতি জানতে চাইবেন মুখ্যমন্ত্রী, বলে মনে করা হচ্ছে।
তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী পদে বসে ফের জেলায় জেলায় গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করলেও, রাজ্যের সর্বস্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসার সুযোগ পাননি মমতা। তাই দীর্ঘ দিন পর মুখ্যমন্ত্রীর এমন উচ্চপর্যায়ের বৈঠক রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে।
২০২১ সালের ২ মে রাজ্যে তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসেও, কোভিড সংক্রমণের কারণে রাজ্যের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসতে পারেননি তিনি। ২০২০ সালে করোনা অতিমারির সূচনা হলে এই ধরনের বৈঠক বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় থেকেই জেলা স্তরের ভার্চূয়াল বৈঠকই ছিল প্রশাসনের একমাত্র হাতিয়ার।