মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের আগে তফসিলি জাতি এবং উপজাতি সম্প্রদায়ের যুবক যুবতীদের জন্য নতুন প্রকল্প ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার আলিপুরের ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত এক সরকারি অনুষ্ঠানে এই নতুন প্রকল্পের কথা জানান তিনি। সঙ্গে প্রকল্পের নাম কী হবে, তাও ঘোষণা করেছেন মমতা। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে, ‘যোগ্যশ্রী’।
প্রকল্পের নাম ঘোষণার পর তিনি বলেন, ‘‘আজ একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিলাম এসসি, এসটি পড়ুয়াদের জন্য। বিভিন্ন সরকারি পরীক্ষা থেকে শুরু করে জেইই, নিট এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল জেইই পরীক্ষার জন্য বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আজ থেকে করা হল। এর নাম দিলাম যোগ্যশ্রী।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘২ হাজার ২৫৪ জন ট্রেনিং নিয়ে কোর্সে চান্স পেয়েছে। জেলায় জেলায় ৫০টি সেন্টার চালু হয়েছে। চাকরির পরীক্ষার ট্রেনিংয়ের জন্য জেলায় দু’টি করে মোট ৪৬ সেন্টার করা হচ্ছে।’’
এই প্রকল্প ছাড়াও আরও একটি প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ছাত্রছাত্রীদের প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা দিতে এই প্রকল্প চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। মমতা বলেন, ‘‘এ বছর আরও একটা নতুন স্কিম চালু করলাম। স্টুডেন্ট ইন্টার্নশিপ স্কিম। আজ থেকেই শুরু হল। আমি চাই ছোটবেলা থেকেই ছেলেমেয়েরা সরকারি কাজের প্রশিক্ষণ নিক। এই প্রশিক্ষণে উত্তীর্ণ হতে পারলে প্রত্যেকে সার্টিফিকেট পাবে। এক বছরের জন্য আড়াই হাজার পড়ুয়াকে ইন্টার্নশিপ করতে দেওয়া হবে। পড়ুয়াদের যোগ্যতার বিচারে তাদের চাকরি রিনিউ হবে। এই ভাবে গ্রাসরুট থেকে লোক তুলে আনার চেষ্টা করছি আমরা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ইনটার্নশিপ করার সময় পড়ুয়ারা দশ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পাবেন। ছাত্র জীবন থেকে প্রশাসনিক ধারনা তৈরি হয়ে যাবে।”
আলিপুর থেকেই তিনি ভাঙড়ে কলকাতা পুলিশের বেশ কিছু উদ্যোগের সূচনাও করেন। মমতা বলেন, ‘‘আজ আমরা ভাল কাজ করলাম কলকাতা পুলিশের ভাঙড় ডিভিশনের পোলেরহাট, কাশিপুর, চন্দনেশ্বর, ভাঙড় ট্রাফিক গার্ড, ভাঙড় থানার নতুন ভবন, ভাঙড় ডিভিশনের নতুন অফিসের উদ্বোধন করা হল। এ ছাড়াও এটা কলকাতা পুলিশের ১০ম ডিভিশন হল। আমি বলব খেয়াদা ১ ও ২কে সঙ্গে নিয়ে নিতে। তার কারণ এটা বানতলার একদম পাশে। সুতরাং ওই জায়গাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, ওখানে কেউ দেখার থাকছে না। পিতৃমাতৃহীন হয়ে পড়ে আছে। তাই অনেকে নানা রকম কাজকর্ম করছে। এগুলো যাতে সুযোগ না পায়।’’