প্রতীকী ছবি।
এ যেন বন্ধু সেজে বিপদের ফিরে আসা! বছর তিনেক পরে আচমকাই বান্ধবীর ফোন এসেছিল। ফোনে-ফোনেই গাঢ় হয়েছিল সম্পর্ক। কিন্তু সেই বন্ধুত্বের ফাঁদে যে এমন ভাবে লক্ষ-লক্ষ টাকা খোয়া যাবে তা ভাবতে পারেননি ভদ্রেশ্বরের বাসিন্দা শুভেন্দু প্রামাণিক। শেষমেশ এই জাল থেকে মুক্তি পেতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। তাঁর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ভদ্রেশ্বর থানা মামলা রুজু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পেশায় জুয়েলারি ডিজ়াইনার শুভেন্দু জানান, প্রায় বছর আটেক আগে তাঁর সঙ্গে একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটে গড়িয়াহাট এলাকার বাসিন্দা, পেশায় গ্রাফিক্স ডিজ়াইনার ওই তরুণীর বন্ধুত্ব হয়। পরবর্তী কালে শুভেন্দু মুম্বই চলে যান। ২০১৬ সালের শেষ থেকে সেই যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ২০১৯ সালের মে মাসে ফের ওই তরুণী ফোন এবং ই-মেল মারফত শুভেন্দুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
শুভেন্দুর দাবি, ওই তরুণী কর্মক্ষেত্র এবং পারিবারিক গোলমালের জেরে মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত বলে তাঁকে জানান। মানসিক জোর জোগাতে গিয়ে তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তাঁর। তার সূত্রেই ব্যবসা শুরুর জন্য শুভেন্দুর কাছ থেকে কয়েক দফায় প্রায় ১৬ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা নেন তরুণী। পরে শুভেন্দু টাকা ফেরত চাইলে তরুণী তা দিতে অস্বীকার করেন এবং শুভেন্দুর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। লকডাউনের আগে শুভেন্দু কর্মসূত্রে দুবাইয়ে থাকতেন। কিন্তু কোভিডের কারণে আপাতত ভদ্রেশ্বরে ফিরেছেন। তিনি বলেন, “সম্পর্কের কারণেই এত টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু এ ভাবে প্রতারিত হতে হবে ভাবিনি।”
সাইবার বিশেষজ্ঞ বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলছেন, ভার্চুয়াল মাধ্যমে সম্পর্কের ফাঁদ পেতে এ ভাবে প্রতারণার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। নেট মাধ্যমে শুধু নারী নয়, ইদানিং পুরুষেরাও নানা অপরাধের শিকার হচ্ছেন।