নিজস্ব চিত্র।
দলের নির্দেশ অমান্য করে কোচবিহারের দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের বড় শৌলমারী গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনায় বহিষ্কার করা হল পঞ্চায়েতের আট সদস্যকে। এর সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সঞ্জয়কুমার বর্মণকেও শোকজ করেছেন কোচবিহার জেলার তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শোকজের জবাব তলব করা হয়েছে।
গত ২২ মার্চ, বড় শৌলমারী গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৪ জন পঞ্চায়েত সদস্যের তলবি সভা ডেকে পঞ্চায়েত প্রধান বিউটি বর্মণকে অপসারিত করেন তৃণমূলের আট পঞ্চায়েত সদস্য। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই পঞ্চায়েত সদস্যদের বহিষ্কার করার কথা ঘোষণা করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম। প্রসঙ্গত, তলবি সভা বাতিল করার জন্য কোচবিহার জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। সেই নির্দেশ অমান্য করেই সভা ডেকে প্রধান অপসারণ হয়।
জেলা তৃণমূলের দাবি, বড় শৌলমারী গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা ঠেকাতে দিনহাটা ১ নম্বরের ব্লক সভাপতিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পার্থপ্রতিম বলেন, ‘‘তদন্ত করে দেখা গিয়েছে অনাস্থা আনার পিছনে ব্লক সভাপতি সঞ্জয় বর্মণের হাত আছে। কেন তিনি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, সে বিষয়ে তাঁর উত্তর চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দলের নির্দেশ অমান্য করে যে সমস্ত সদস্য অনাস্থা এনে পঞ্চায়েত প্রধানকে অপসারিত করেছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই তৃণমূল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ এই বিষয়ে সঞ্জয় বলেন, ‘‘দল কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আমার জানা নেই। শোকজের কোনও চিঠি পাইনি। শোকজের চিঠি পেলে উত্তর দেব।’’