মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
কলকাতা থেকে বিভিন্ন জেলার কাজকর্মের তদারকি করার বদলে জেলায় জেলায় গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক আগেই শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার সেই তালিকায় সংযোজন হল জেলা শহরের বদলে প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে জেলা প্রশাসনের বৈঠক। তবে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কী কারণে চ্যাংরাবান্ধায় কোচবিহার জেলা প্রশাসনের বৈঠক করা হল।
যদিও মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই বললেন, ‘‘মেখলিগঞ্জ মহকুমার চ্যাংরাবান্ধা ভৌগোলিক ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই এলাকার উন্নয়নে আরও কাজ করে যেতে হবে। অনেক মানুষ এই এলাকায় আসেন। কিন্তু এখানে থাকার কোনও জায়গা নেই। এমনকি, থাকার জায়গা থাকলে আমাকে দু’ঘণ্টা গাড়িতে করে এসে বৈঠকে যোগ দিতে আসতাম না। আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর , ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট, তিনবিঘা করিডর থাকায় বিভিন্ন কারণে প্রচুর মানুষ এখানে আসেন।’’
সেই প্রয়োজনের কথা ভেবেই এ দিন এখানে ভাল থাকার জায়গা তৈরির বিষয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে নির্দেশ তিনি। এ ছাড়া, এই এলাকার উন্নয়নে তিনি ইতিমধ্যেই চ্যাংরাবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করেছেন। এই এলাকার উন্নয়নে গতি আনতেই তিনি জেলার প্রশাসনিক বৈঠক এখানে করেছেন বলে জানান। তবে মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নের কথা জানালেও রাজনৈতিক দলের একাংশের ব্যাখ্যা, সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দলের সবচেয়ে খারাপ ফল হয়েছে মেখলিগঞ্জ ব্লকে।
সেই কারণেই লোকসভা ভোটের আগে দলকে চাঙ্গা করতে জেলার প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য মেখলিগঞ্জ ব্লকের চ্যাংরাবান্ধাকে বেছে নেওয়া হয়েছে।