GPF

প্রভিডেন্ড ফান্ডের অর্থ জমা দেওয়ার পদ্ধতি বদল, সরকারি কর্মচারীদের ভোগান্তি কমাতে সিদ্ধান্ত

রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা বেতন ও পেনশনের ক্ষেত্রে নির্ভর করেন এজি বেঙ্গলের উপর। প্রতি মাসের মূল বেতন থেকে ৬ শতাংশ অর্থ সরকারি কর্মচারীরা জিপিএফে জমা করেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:২৮
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

জেনারেল প্রভিডেন্ড ফান্ড (জিপিএফ) নিয়ে এ বার সরকারি কর্মচারীদের ভোগান্তির দিন শেষ হতে চলেছে। গত অগস্ট মাসে ২৯ অগস্ট কেন্দ্রীয় সরকারের ইন্ডিয়ান অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভাগ এক নির্দেশিকা জারি করেছে। সেখানেই জানানো হয়েছে, এ বার থেকে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের জিপিএফের অর্থ ‘মিসিং ক্রেডিট অ্যাডজাস্টমেন্ট মডিউল’ পদ্ধতিতে জমা দেওয়া যাবে। ফলে জিপিএফের অর্থ সরাসরি বেতনের অ্যাকাউন্ট থেকেই সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে চলে যাবে। সঙ্গে আরও জানানো হয়েছে, নিজেদের প্রভিডেন্ড ফান্ডে কী পরিমাণ অর্থ জমা পড়েছে, তা-ও অনলাইনেই জানতে পারবেন সরকারি কর্মচারীরা।

Advertisement

রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা বেতন ও পেনশনের ক্ষেত্রে নির্ভর করেন এজি বেঙ্গলের উপর। প্রতি মাসের মূল বেতনের থেকে ৬ শতাংশ অর্থ সরকারি কর্মচারীরা জিপিএফে জমা দেন। যদিও, সরকারি নিয়মে এই প্রভিডেন্ড ফান্ডে ৬ শতাংশের বেশি টাকাও তাঁরা জমা রাখতে পারেন। এই খাতে তাঁরা সুদের পরিমাণ বেশি পান। এত দিন জিপিএফের অর্থ কলকাতার এজি বেঙ্গলের দফতরে এসে সরকারি কর্মচারীদের জমা দিতে হত। কিন্তু নতুন নিয়মে আর এজি বেঙ্গলে এসে সরকারি কর্মচারীদের জিপিএফের অর্থ জমা দিতে হবে না। ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার মাধ্যমেই সেই কাজ করা সম্পন্ন হয়ে যাবে। এই পদ্ধতির ফলে যেমন প্রতি মাসে এজি বেঙ্গলে অর্থ জমা দেওয়ার দায়িত্ব থেকে রেহাই পাওয়া যাবে, তেমনই আবার নিজের জিপিএফের অর্থের হিসেব নিমেষেই পাওয়া সম্ভব হবে।

—নিজস্ব চিত্র।

সরকারি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এ বার থেকে সরকারের একটি নির্দিষ্ট পোর্টালে গেলেই জিপিএফের অর্থের পরিমাণ জানা যাবে। নতুন এই পদ্ধতি শুরুর কারণ হিসেবে এজি বেঙ্গল সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝে মধ্যেই জিপিএফের অর্থের হিসাব নিয়ে বিপাকে পড়তেন সরকারি কর্মচারীরা। প্রশাসনিক ভাষায় এই গলদকে ‘মিসিং ক্রেডিট’ বলা হয়। হাতে হাতে জিপিএফের অর্থ জমা পড়াতেই এই সমস্যা হত। আর এই সমস্যার সমাধান করতে সরকারি কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট দফতরকে ছুটোছুটি করে বিস্তর ঘাম ঝরাতে হত। এবং হিসাব মেলানোর প্রক্রিয়াও ছিল সময়সাপেক্ষ। সম্প্রতি এজি বেঙ্গল কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বহু কর্মীর জিপিএফের হিসাব মেলানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই সমস্যার সমাধান করতেই নতুন এই পদ্ধতি চালু করা হল।

Advertisement

নতুন এই পদ্ধতিকে স্বাগত জানিয়েছেন তৃণমূল কর্মচারী ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি মনোজ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। অনেক আগেই এই পদ্ধতি চালু করা উচিত ছিল। দেরি হলেও সরকারি কর্মচারী ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের কথা মাথায় রেখেই সমাধানের স্থায়ী পথ বের করা হয়েছে। তাতেই আমরা খুশি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement