চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। —ফাইল চিত্র
লোকসভা ভোটে হারের কথা ভুলে সংগঠনের কর্মী, সমর্থকদের ‘লড়াই’য়ের ডাক দিলেন তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। শনিবার কোচবিহারের উৎসব অডিটোরিয়ামে সংগঠনের একটি কর্মিসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। চন্দ্রিমা বলেন, “নিশ্চিতভাবে একটা নির্বাচনে এখানে খারাপ ফল হয়েছে এটা অস্বীকার করা যায়না। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস তার শক্তি হারায়নি।’’
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের নানা প্রকল্পের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘‘এমনটা কেউ ভাবেননি। মমতা বন্দোপাধ্যায় ভেবেছেন। সর্বস্তরের মানুষকে কাজ করার ক্ষেত্র তৈরি করে দিচ্ছেন। তাতে ওদের (বিরোধীদের) রাগ হচ্ছে।’’ ওই প্রসঙ্গেই তাঁর পরামর্শ, “এই জায়গায় দাঁড়িয়েই আপনাদের লড়াইটা করতে হবে।” কেন্দ্রের প্রকল্পের সমালোচনা করে নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন,“ নাগরিক তো আছেই তারপরে আবার কেন নাগরিক হতে হবে?”
রাজ্য সরকারের প্রকল্পের সঙ্গে কেন্দ্রের প্রকল্পের ফারাকের অভিযোগও তুলেছেন তিনি। চন্দ্রিমা বলেন, “আমাদের যখন কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা রাজ্যের জন্য বরাদ্দ। তখন কেন্দ্রের ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্পে গোটা দেশে বরাদ্দ মাত্র ১০০ কোটি টাকা। কে বাঁচবে, কে পড়বে?” উজ্জ্বলা প্রকল্পে নিয়েও সরব হন তিনি।
চন্দ্রিমা বলেন, একটা কানেকশন ফ্রি দিয়েছেন। পরে ভর্তুকি যুক্ত গ্যাস (সিলিন্ডার) নিতে হলে বিপিএল ভুক্তরা সেই টাকা কীভাবে দেবেন। আগামী পুরসভার নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই কর্মী, সমর্থকদের প্রস্তুতির ডাক দেন তিনি। বলেন, “ছ’টা পুরসভার নির্বাচন আছে। আবার শুধু নির্বাচন সামনে রেখে মমতা বন্দোপাধ্যায় কাজ করেন তা নয়।’’
সভায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “জোট বাঁধুন। পুরসভা ভোটে বিজেপিকে শূন্য করে দিতে হবে।” সভায় অনগ্রসর কল্যাণ উন্নয়ন মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ, বিধায়ক মিহির গোস্বামী, মালা সাহা , প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় প্রমুখও উপস্থিত ছিলেন। ওই নেতাদের বেশিরভাগের বক্তব্যেও কেন্দ্রের সমালোচনা, বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগের প্রসঙ্গ ওঠে। মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী শুচিস্মিতা দেবশর্মা জানান, পুরস্তর ভিত্তিক কর্মিসভায় এক হাজারের বেশি মহিলা কর্মী, সমর্থক যোগ দিয়েছেন। গ্রামাঞ্চল থেকেও স্থানীয়েরা আসেন।