Akhil Giri

ফের রদবদল মন্ত্রিসভায়, অখিল গিরির ছেড়ে যাওয়া কারা দফতরের অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলেন চন্দ্রনাথ

চলতি মাসের শুরুতেই এক বন দফতরের কাঁথি বিভাগের এক মহিলা রেঞ্জ আধিকারিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে ইস্তফা দেন রামনগরের বিধায়ক অখিল। তারপর সংক্ষিপ্ত রদবদল হয় মন্ত্রিসভায়, সেই রদবদলে কারা দফতর নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২৪ ১৬:২৩
Share:

(বাঁ দিকে) অখিল গিরি, চন্দ্রনাথ সিংহ (ডান দিকে)। —ফাইল ছবি।

ফের রদবদল রাজ্য মন্ত্রিসভায়। এ বার অখিল গিরির ছেড়ে যাওয়া কারা দফতরের অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলেন চন্দ্রনাথ সিংহ। বুধবার নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, রাজ্যপাল অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে রাজ্যের ক্ষুদ্র কুটির ও বস্ত্রশিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথকে কারা দফতর দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছেন। চলতি মাসের শুরুতেই বন দফতরের কাঁথি বিভাগের এক মহিলা রেঞ্জ আধিকারিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠার প্রেক্ষিতে ইস্তফা দেন রামনগরের বিধায়ক অখিল। তার পর সংক্ষিপ্ত রদবদল হয় মন্ত্রিসভায়, সেই রদবদলে কারা দফতর নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন বিজ্ঞপ্তি জারি করে কারা দফতরে নতুন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়া হল।

Advertisement

প্রশাসনিক মহলের ধারণা ছিল, অখিল যে হেতু পূর্ব মেদিনীপুরের কোটায় মন্ত্রী হয়েছিলেন, তাই পূর্ব মেদিনীপুরের কোনও বিধায়ককে মন্ত্রিসভায় এনেই সেই দায়িত্ব দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই ধারণাকে ধাক্কা দিয়ে বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথকে কারা দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হল। সম্প্রতি অখিলের সঙ্গে বন দফতরের কাঁথি বিভাগের মহিলা রেঞ্জ অফিসার উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। তাতে রাজ্যের তৎকালীন কারামন্ত্রী অখিলকে ওই মহিলা বন আধিকারিকের উদ্দেশে কুকথা বলতে শোনা যায়। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দল থেকে অখিলের কাছে নির্দেশ যায় মন্ত্রিপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার। একই সঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী অখিলকে জানিয়ে দেন, যে মহিলাকে তিনি অপমান করেছেন, তাঁর কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

দলের রাজ্য সভাপতির সেই বার্তা পাওয়ার পরেই কাঁথিতে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে নিজের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন অখিল। তিনি বলেন, ‘‘দল মনে করেছে আমার কাজে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তাই আমার কাছে নির্দেশ এসেছে পদত্যাগ করার। আমি দলের অনুগত কর্মী। তাই দল যে নির্দেশ দিয়েছে, তা পালন করব।’’ পরে নবান্নে গিয়ে মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকের কাছে নিজের পদত্যাগ পত্র দিয়ে আসেন অখিল। এ বার তাঁর দফতরের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন চন্দ্রনাথ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement