নেতাজী সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল চিত্র।
নেতাজী সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে শিক্ষক চন্দন বসুকে শনিবার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের অফিসের দায়িত্ব গ্রহণের নির্দেশ দিল রাজভবন। প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সেখানে নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। উপাচার্যহীন অবস্থায় পাঁচ লক্ষ পড়ুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কী অসুবিধা হচ্ছে, তা জেনে সেখানেই অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের দায়িত্ব ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব থেকে সিনিয়র শিক্ষক পালন করবেন বলে জানান তিনি।
নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যপাল শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনাক্রমে অস্থায়ী অথবা অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বাছেন। কিন্তু তা করা হয়নি। সূত্রের খবর, উচ্চ শিক্ষা দফতরের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তুমুল ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তার পর এ দিন সরাসরি রাজভবন থেকেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পূর্বতন অস্থায়ী উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকে অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে নতুন নামের প্রস্তাব রাজভবনে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাবে কোনও সাড়া না দিয়ে রাজ্যপাল নিজেই অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের অফিসের দায়িত্ব সব থেকে সিনিয়র শিক্ষক চন্দন বসুকে দিয়েছেন। ইউজিসির নিয়ম অনুযায়ী, উপাচার্য পদে থাকতে হলে অন্তত প্রফেসর পদে দশ বছরের শিক্ষকতা করার অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। সূত্রের খবর, সেই অভিজ্ঞতা চন্দনের নেই।