পুজালি পুরসভা।—ছবি ফেসবুক থেকে।
ষোলো জন কাউন্সিলরের মধ্যে চোদ্দো জনই তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন। সোমবার ধ্বনিভোটের মাধ্যমে সেই প্রস্তাব গৃহীত হল। পুজালি পুরসভার চেয়ারপার্সনের পদ থেকে অপসারিত হলেন রীতা পাল।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, রীতার বিরুদ্ধে ১৪ জন কাউন্সিলর অনাস্থা প্রস্তাব আনেন ১৩ অগস্ট। চেয়ারপার্সনের হাতেই অনাস্থা প্রস্তাবের চিঠি তুলে দেওয়া হয়েছিল। ১৫ দিনের মধ্যে কাউন্সিলরদের বৈঠক ডাকার আবেদনও জানানো হয়েছিল। এ দিন কাউন্সিলরদের বৈঠক ডাকা হয়। রবিবার দুপুরে অসুস্থ হয়ে রীতাদেবী মহেশতলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেই জন্য এ দিনের বৈঠক অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। তবে বেলা আড়াইটে নাগাদ তিনি পুরসভায় আসেন। তার পরেই বৈঠক শুরু হয়।
পুরসভার খবর, অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এ দিন ধ্বনিভোট নেওয়া হয়। বিরোধী-শূন্য পুজালি পুরসভায় এ দিন ভাইস চেয়ারম্যান ফজলুর হক-সহ ১৩ জন কাউন্সিলর রীতাদেবীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের অনুকূলে সম্মতি দেন। সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অশোক দাস বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। রীতাদেবীর পক্ষে সম্মতি দেন ১৪ নম্বর ওর্য়াডের কাউন্সিলর আমিরুল ইসলাম। ভাইস চেয়ারম্যান ফজলুর হকই অনাস্থা প্রস্তাবের নেপথ্য কারিগর বলে অভিযোগ তুলেছিলেন রীতাদেবী। এ দিন চেয়ারপার্সনের অপসারণের বিষয়ে ফজলুর কোনও মন্তব্য করেননি। বৈঠকের পরে রীতাদেবী বলেন, ‘‘দলীয় নেতৃত্বের মদতেই আমাকে চেয়ারপার্সন-পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তবে আমি কাউন্সিলর হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করব।’’