Midday Meal

পিএম পোষণের অর্থ ভোটে ঢালা হচ্ছে! স্কুল শিক্ষা দফতরকে চিঠি দিল কেন্দ্র

চিঠিতে তারা জানিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমান জেলার মিড ডে মিল অ্যাকাউন্টের কিছু তথ্য তাদের নজরে এসেছে, সেই তথ্য দেখেই তারা এই ধারণায় উপনীত হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৩ ২১:৫১
Share:

— ফাইল চিত্র।

মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ পিএম পোষণের টাকা ব্যবহার করা হচ্ছে ভোটের কাজে— এমনই অভিযোগ করে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরকে চিঠি দিল কেন্দ্র। বিদ্যালয় শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিবকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ মারফত রাজ্য সরকারের তরফে পাঠানো নথিতে দেখা যাচ্ছে একটি ডরম্যান্ট অ্যাকাউন্ট নির্বাচনের জন্য টাকা ট্রান্সফারের কাজে ব্যবহৃত হয়েছে।

Advertisement

চিঠিতে তারা জানিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমান জেলার মিড ডে মিল অ্যাকাউন্টের কিছু তথ্য তাদের নজরে এসেছে, সেই তথ্য দেখেই তারা এই ধারণায় উপনীত হয়েছে। কারণ বিভিন্ন সময়ে ওই অ্যাকাউন্টে পিএম পোষণ তহবিলের অর্থে হিসাবের গরমিল দেখা যাচ্ছে। যার কোনও ব্যাখ্য নেই। হোয়াটসঅ্যাপ মারফত রাজ্য সরকারের তরফে পাঠানো নথিতে দেখা যাচ্ছে একটি ডরম্যান্ট অ্যাকাউন্ট ব্যবহৃত হয়েছে নির্বাচনের জন্য টাকা ট্রান্সফারের কাজে ব্যবহৃত হয়েছে।

একটি উদাহরণ দিয়ে কেন্দ্র বলেছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, মিড ডে মিলের তহবিলের সমস্ত অর্থ ব্যয়ের জন্য একটি সিঙ্গল নোডাল এজেন্সিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তারা জানিয়েছিল, ওই এজেন্সি তহবিলের অব্যবহৃত অর্থ একটি সিঙ্গল নোডাল অ্যাকাউন্টে জমা দেবে। সেই অ্যাকাউন্টের তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ২০২৩ সালের ৩১ মার্চে ওই অ্যাকাউন্টে ১৫৪২.১৭ কোটি টাকা রয়েছে। রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য বলছে, এ পর্যন্ত সরকারি অছি থেকে ৩৮৭.৩৫ কোটি টাকা ওই অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হয়েছে। অথচ গত ৪ জুলাই ওই অ্যাকাউন্টের তথ্যে দেখা গিয়েছে, এখন ওই অ্যাকাউন্টে ৪১৭৪.২৮ কোটি টাকা রয়েছে। কেন্দ্র জানতে চেয়েছে, এটা কী করে সম্ভব?

Advertisement

কেন্দ্রের চিঠিতে বলা হয়েছে, শুধু একটি জেলার ক্ষেত্রেই যদি এমন হয়ে থাকে, তবে বাকি জেলাগুলির তথ্য খতিয়ে দেখলেও আরও গরমিল পাওয়া যেতে পারে। এই মর্মে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরকে মিড ডে মিলের তহবিলের হিসাব খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। একই সঙ্গে জানিয়েছে, কোনওরকম গরমিল দেখলে, তা যেন অবিলম্বে জানানো হয় তাদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement