ছবি: সংগৃহীত।
আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের পুনর্বাসন প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা বাড়াল কেন্দ্রীয় সরকার। মাওবাদী প্রভাবিত এলাকাগুলিতে এই নীতি প্রযোজ্য। সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলি ওই নীতি মেনে পদক্ষেপ করতে পারে। পশ্চিমবঙ্গও তা মানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রকল্পের খরচ দেয় কেন্দ্র।
ওই প্রকল্পে আইটিআই-এ পড়ার ক্ষেত্রে বর্ধিত সুযোগ-সুবিধা পাবেন ধরা দেওয়া মাওবাদীরা। সেই সঙ্গে জঙ্গলমহলের অন্যান্য পরিবারের তরুণেরাও এই সুযোগ পাবেন। প্রশাসনিক ব্যাখ্যা, সাধারণ ভাবে এত দিন অষ্টম বা দশম শ্রেণি উত্তীর্ণেরাই আইটিআই-এ ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেতেন। যাঁদের জন্য এই প্রকল্প, তাঁদের কেউ অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ না-হলেও নতুন ব্যবস্থায় আইটিআই-এ সুযোগ পাবেন। তবে তার জন্য এক বছরের একটি ‘ফাউন্ডেশন’ কোর্স করতে হবে সংশ্লিষ্ট উপভোক্তাকে। সেই পাঠ্যক্রম শেষ হলে উপভোক্তা আইটিআই-এ ভর্তি হতে পারবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের বৃত্তিও পাবেন তিনি। পড়ার শেষে কেন্দ্রীয় সরকারের শংসাপত্র পাবেন উপভোক্তা। তাতে ভবিষ্যতে কারিগরি কোনও কাজে যোগ দিতে সুবিধা হবে তাঁর।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পরে রাজ্য সরকার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে নিয়ে সাত জনের একটি কমিটি গড়েছে। আইটিআই-এর ফাউন্ডেশন কোর্সের পাঠ্যক্রম স্থির করবে সেই কমিটিই। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘এ বার আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে। যাঁরা অষ্টম বা মাধ্যমিক উত্তীর্ণ, তাঁদের এই পাঠ্যক্রমের দরকার হবে না। যে-সব আবেদনকারী অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ নন, তাঁদের এই পাঠ্যক্রমে আনা হবে।’’
আগে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বীরভূমের একাংশ কেন্দ্রের বিচারে মাওবাদী এলাকার তালিকাভুক্ত হলেও পরিমার্জিত তালিকায় ওই সব জেলার ঠাঁই হয়নি। কেন্দ্রের ‘সিকিয়োরিটি রিলেটেড এক্সপেন্ডিচার’ বা এসআরই তালিকায় রয়েছে শুধু ঝাড়গ্রাম। রাজ্য প্রশাসন জানাচ্ছে, ওই সব ক’টি এলাকাতেই এই প্রকল্প রূপায়ণ করবে তারা।