বারাসত থেকে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের ছাড়পত্র সময়মতো দেয়নি কেন্দ্র। ফলে পিছিয়ে গেল সেই কাজ। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় আপাতত ছাড়পত্র মেলার সম্ভাবনা নেই। ফলে ওই কাজের জন্য রাজ্য সরকার এখন টেন্ডার বা দরপত্র আহ্বান করতে পারবে না। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের এই ভূমিকায় রাজ্যের পূর্তকর্তারা অত্যন্ত অসন্তুষ্ট।
ওই সড়কের প্রায় ৮৪ কিলোমিটার অংশের সম্প্রসারণের বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল জমি-জট। বড়জাগুলি থেকে বারাসত পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার অংশে জমি-জট এখনও কাটেনি। তবে কৃষ্ণনগর থেকে বড়জাগুলি পর্যন্ত ৬৭ কিলোমিটার দীর্ঘ অংশে জমির সমস্যা মিটে গিয়েছে। রাজ্য ওই এলাকার জন্য প্রকল্পের সবিস্তার রিপোর্ট (ডিপিআর) জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছিল ফেব্রুয়ারিতে। প্রায় এক মাস অতিক্রান্ত হলেও প্রকল্পের ছাড়পত্র পায়নি রাজ্য। ইতিমধ্যে ১০ মার্চ ভোটের ঘোষণা হয়ে গিয়েছে।
রাজ্যের পূর্তকর্তারা জানান, ওই সড়কে চারটি লেন গড়া হবে। তাই সড়কটি চওড়া হবে প্রায় ১৮ মিটার পর্যন্ত। ২০০০ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে। তা দেবেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে কেন্দ্র ২০১৭ সালের নভেম্বরে এক বৈঠকে রাজ্যের ভূমিকার সমালোচনা করেছিল। মাসখানেক আগে জমি-জট কাটিয়ে কৃষ্ণনগর থেকে বড়জাগুলি পর্যন্ত সড়ক সম্প্রসারণের প্রকল্প রিপোর্ট পাঠানো হয়। তার পরে এত দিনেও তার অনুমোদন পেল না রাজ্য।
পূর্ত দফতরের অনেক কর্তারই আশঙ্কা, এ বার এই প্রকল্প শুরু হতে হতে অনেক সময় লেগে যাবে। ভোটে আচরণবিধি বলবৎ হওয়ায় সড়ক কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র মিললেও কাজ হবে না। কারণ, এই পর্বে প্রকল্পের জন্য দরপত্র আহ্বান করা যাবে না। ভোট পর্ব চুকে যাওয়ার পরে কাজ শুরু করতে করতে বর্ষা এসে যাবে। ফলে তখনও এই কাজ করা যাবে না। পূর্ত দফতরের এক কর্তা জানান, ঠিক সময়ে ডিপিআরের ছাড়পত্র পাওয়া গেলে অন্তত দরপত্র ডাকা হয়ে যেত। ভোট ঘোষণা হয়ে গেলেও তখন কাজ শুরু করতে কোনও বাধা থাকত না। সে-ক্ষেত্রে প্রকল্পটি অন্তত এক বছর আগে শেষ করা যেত। ‘‘অনুমতি আদৌ পাওয়া যাবে কি না, এখন আর সেটাও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না,’’ বললেন ওই পূর্তকর্তা।