শুনে খুশি পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের দুই কর্তা ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় এবং সুধাংশুশেখর দে। সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, সেলিনা হোসেনদের উপস্থিতিতে বইমেলার উদ্বোধনী আসর এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর বই প্রকাশ মঞ্চও অবশ্য হয়ে ওঠে।
বইমেলার উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বই উপহার দিচ্ছেন বাংলাদেশের মন্ত্রী কে এম খালিদ। ছবি: সুমন বল্লভ
ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর, স্বাধীন বাংলাদেশের ৫০ বছর, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ— ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে কলকাতা বইমেলার মাঠ মেলে ধরছে বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি! এই ২০২২-এ কলকাতা বইমেলার থিম দেশ বাংলাদেশ। একে আলাদা তাৎপর্য বলে উল্লেখ করেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সৌহার্দ্যের এই সুরটুকু বহন করে চললেন। সোমবার ৪৫ তম কলকাতা বইমেলার উদ্বোধনে পড়শি দেশের অতিথিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘জয় বাংলা যেমন আপনাদের স্লোগান, তেমনই আমাদেরও স্লোগান। আমরা জয় হিন্দ এবং বন্দে মাতরমও বলি।’’
দুই বাংলার নানা ঐতিহ্যই যে দু’দিকে ছড়িয়ে আছে, তার উল্লেখ করে মমতা বলেন, “রবীন্দ্রনাথ, নজরুল দুই বাংলার! আবার চাকলা ধাম বা লোকনাথের অনেক কিছু বাংলাদেশে ছড়িয়ে। আমরা যাব, আপনারাও আসবেন!’’ বইমেলার বিশেষ অতিথি সাহিত্যিক, ঢাকা বাংলা অ্যাকাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন এ দিন বলছিলেন, যে কোনও বইমেলা হয়ে উঠুক মাতৃভাষা চর্চার অধিকারের কেন্দ্র।
কলকাতায় একটি স্থায়ী মেলা প্রাঙ্গণ শীঘ্রই প্রস্তুত হবে মিলনমেলার মাঠে। কিন্তু বইমেলার উদ্যোক্তাদের আবদার মেনে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কেই পাকাপাকি ভাবে বসবে বইমেলার আসর। মেলার এই অংশটির তিনি এ দিন নামকরণও করেন বইমেলা প্রাঙ্গণ।
শুনে খুশি পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের দুই কর্তা ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় এবং সুধাংশুশেখর দে। সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, সেলিনা হোসেনদের উপস্থিতিতে বইমেলার উদ্বোধনী আসর এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর বই প্রকাশ মঞ্চও অবশ্য হয়ে ওঠে।
গত কয়েক বছরের রীতি মেনে এ বারও ১২টি বই প্রকাশিত হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাতে কবিতা, ছোটদের ছড়াটড়া ছাড়াও রয়েছে খেলা হবে, দুয়ারে সরকার নিয়ে লেখাও। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘ট্রেডমিল করতে করতে হয়তো কাউকে লেখা ব্রিফ করে দিলাম। খাতা, পেনকে ভালোবেসে স্যাটাস্যাট লিখে ফেলি কিছু না কিছু!’’ তাঁর হিসেবেই প্রকাশিত বই এখন ১১৩টি! কোভিডে ২০২১এ বইমেলা বন্ধ না-থাকলে বইয়ের সংখ্যা আরও বাড়ত।