ফাইল চিত্র।
ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ‘নির্বাচনী হিংসা’য় নিহত দলীয় কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের পরিবারের হাতে ‘শহিদ সম্মান স্মারক’ তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তিনি মঙ্গলবার জগদ্দল ও নৈহাটি বিধানসভা এলাকার নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিজনেদের সঙ্গে দেখা করেন। গত বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন জগদ্দলের কাউগাছিতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলা থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে শোভারানি মণ্ডল নামে এক প্রৌঢ়ার মৃত্যু হয় বলে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করেছিল বিজেপি। সেই পরিবারের সঙ্গে দেখা করে এ দিন শান্তনু অভিযোগ করেন, ‘‘শোভারানির হত্যাকারীরা শুধু নয়, এ রকম অনেক খুনি ঘুরে বেড়াচ্ছে।’’ ভোটের ফল বেরনোর পরের দিন সন্টু মণ্ডল নামে নৈহাটির আর এক দলীয় কর্মীর উপরেও তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা করেছিল বলে বিজেপির অভিযোগ। কামারহাটির সাগর দত্ত হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর পরিবারের সঙ্গেও এ দিন দেখা করেন শান্তনু।
তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান নির্মল ঘোষ শোভারানি প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থে কী বলছে জানি না। খুন হলে পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করবে।’’ আর সন্টু প্রসঙ্গে নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের বক্তব্য, ‘‘বনগাঁর সাংসদ এক জন করোনা আক্রান্ত সম্পর্কে ভুল কথা বলেছেন। আমি ওঁদের পাশে ছিলাম। ওই বিজেপি কর্মীর চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছিলাম। রাজনৈতিক আক্রমণ করলে জেনে করা উচিত!’’