সরকারি সূত্রের খবর, একসময় রাজ্যে চা বাগানের অব্যবহৃত জমির ৫ একরে চা পর্যটন করার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। যা নিয়ে শিল্পমহলে নানা বক্তব্য সামনে আসে। তাতে শিল্পপতি বা বড় সংস্থাগুলি এই প্রকল্পে খুব একটা উৎসাহ দেখাচ্ছিল না।
ফাইল চিত্র।
রাজ্যে প্রথমবার চা পর্যটনে নামতে চলছে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ একটি সংস্থা। সংস্থার চা শাখা বা টি ডিভিশনের হাতে থাকা দার্জিলিঙের অন্যতম ‘মিম’ চা বাগানে চা পর্যটন, হোম-স্টে পরিষেবা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পর্যটন দফতর সূত্রের খবর, ১৫ ফেব্রুয়ারি সংস্থার তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, বাগানের জমিতে যৌথভাবে হোম-স্টে তৈরিতে যাঁরা উৎসাহী, তাঁরা আবেদন করতে পারেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি অবধি আবেদনের সময়সীমা রয়েছে। তার পরেই প্রকল্পের কাজে ধাপে ধাপে হাত দেওয়া হবে।
উত্তরবঙ্গের বড় চা বাগানে এখনও দু’টি চা পর্যটন বা টি রিসর্ট হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রকল্প হয়েছে শিলিগুড়ির সুকনা লাগোয়া নিউ চামটা চা বাগানে। সেখানে কয়েকশো কোটি টাকা খরচ করে একটি বড় গোষ্ঠী টি রিসর্ট করেছে। একই ভাবে কার্শিয়াঙের মকাইবাড়ি চা বাগানেও আর একটি বড় সংস্থা টি রিসর্ট চালাচ্ছে। পর্যটন দফতরের এক যুগ্ম সচিবের কথায়, ‘‘রাজ্য সরকারের চা পর্যটন নীতি বদল হয়েছে। জমির পরিমাণ থেকে আবেদনের প্রক্রিয়ায় সরলীকরণ করা হয়েছে। এতে অনেক বাগানেই উৎসাহ বাড়ছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার বা তাঁদের অধীনস্থ কোনও সংস্থা এই প্রকল্পে প্রথমবার আসছে।’’
সরকারি সূত্রের খবর, একসময় রাজ্যে চা বাগানের অব্যবহৃত জমির ৫ একরে চা পর্যটন করার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। যা নিয়ে শিল্পমহলে নানা বক্তব্য সামনে আসে। তাতে শিল্পপতি বা বড় সংস্থাগুলি এই প্রকল্পে খুব একটা উৎসাহ দেখাচ্ছিল না। তার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে জমির ঊর্ধ্বসীমা ৫ একর থেকে বাড়িয়ে ১৫ একর করে দেন। তাতে ধীরে ধীরে চা পর্যটনে আগ্রহ বাড়তে শুরু করে। নতুন চা পর্যটন নীতিতে সরকারের তরফে নানা সাহায্যের কথাও ঘোষণা করা হয়। শেষে ফেব্রুয়ারির শুরুতে চা পর্যটনের অনুমতির জন্য ‘শিল্পসাথী’ অনলাইন এক জানলা পোর্টাল ব্যবস্থার কথা শিল্প-বাণিজ্য দফতর ঘোষণা করেছে। এর পরেই কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রাধীণ সংস্থাটি চা পর্যটনে এগিয়ে আসে। সংস্থাটির অন্য নানা বিভাগের সঙ্গে চা বিভাগ রয়েছে, যার আওতায় রাজ্যে চারটি চা বাগান রয়েছে।