প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রের নিশানায় পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসাগুলির একাংশ। গোটা দেশে সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য বাংলা-সহ বিভিন্ন রাজ্যের মাদ্রাসাকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে লোকসভায় জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিশণ রেড্ডি। তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কেন্দ্র কোথা থেকে এমন তথ্য পেল, তা জানতে চাইবেন তাঁরা।
গত সপ্তাহে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি, নব্য) শাখার চার জনকে শিয়ালদহ থেকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। এদের তিন জনই বাংলাদেশের। এর পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এই বিবৃতি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। শিয়ালদহে ধৃতদের কাছ থেকে আইএস মতাদর্শের বেশ কিছু বাংলা প্রচার পুস্তিকাও পাওয়া যায়। গোয়েন্দাদের মতে, নব্য জেএমবি আইএস মতাদর্শে বিশ্বাসী। যাদের মূল লক্ষ্য, বাংলাদেশে ক্যাডার নিয়োগ করে আইএস মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়া। বাংলাদেশে ব্যাপক ধরপাকড় চলায় তারা এখন অপেক্ষাকৃত সুরক্ষিত পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।
জঙ্গিরা ক্রমশ পশ্চিমবঙ্গকে তাদের ঘাঁটি করছে— প্রকারান্তরে এই কথাই তুলে ধরেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রেড্ডি। রাজ্যের দুই বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও সুকান্ত মজুমদারের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী জেএমবি বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদের কিছু মাদ্রাসাকে নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করছে। মাদ্রাসাগুলি পড়ুয়া ভর্তি করে তাদের মগজধোলাই করে জেহাদের মন্ত্রে দীক্ষিত করার কাজ চলছে। রেড্ডি জানান, ‘‘ওই সব গোয়েন্দা তথ্য রাজ্যকে জানানো হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।’’
তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘এ ধরনের তথ্য দেওয়ার আগে কেন্দ্রের উচিত রাজ্য সরকারের সঙ্গেযাচাই করে নেওয়া। লিখিত প্রশ্নের উত্তরে পাল্টা প্রশ্ন করা যায় না। তাই কিসের ভিত্তিতে ওই তথ্য কেন্দ্র দিয়েছে তা জানতে চাইবে দল।’’ রাজ্যের তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেছেন, ‘‘এটা বাংলায় অস্থিরতা তৈরির অভিসন্ধি। খাগড়াগড় কাণ্ডের পরে আমরা বলেছিলাম, কোনও একটা মাদ্রাসা থেকে হিংসা ছড়ানো হচ্ছে উদাহরণ দিন। আমরা গিয়ে তালা দিয়ে আসব। এনআইএ একটিও উদাহরণ দিতে পারেনি।’’