ছিটমহলে চাবি নিতে বললেন কেন্দ্রীয় সচিব

বুধবার সাবেক ছিটের উন্নয়ন এবং  কোচবিহারে একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে হলদিবাড়ি আসেন যুগ্মসচিব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিবাড়ি শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৬:০৫
Share:

মুখোমুখি: ছিটের বাসিন্দাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সচিব। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

সাবেক ছিটের বাসিন্দাদের দাবি মেনে তাঁদের পুনর্বাসন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দেখালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যুগ্মসচিব কে বি সিংহ। সেই সঙ্গে ওই বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের জন্য বরাদ্দ ঘরের চাবি নিতেও তাঁদের অনুরোধ করেন কেন্দ্রীয় সচিব।

Advertisement

বুধবার সাবেক ছিটের উন্নয়ন এবং কোচবিহারে একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে হলদিবাড়ি আসেন যুগ্মসচিব। তাঁকে কাছে পেয়ে এ দিন নিজেদের পুনর্বাসন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানতে চান সাবেক ছিটের বাসিন্দারা। সেই দাবি মেনে নথিপত্র বের করে সমস্ত তথ্য পড়ে শোনান যুগ্মসচিব। সেই সঙ্গে সাবেক ছিটের বাসিন্দাদের জন্য বরাদ্দ ফ্ল্যাটের চাবি নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।

যদিও সাবেক ছিটের বাসিন্দাদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সচিব তাঁদের যে নথি দেখালেন, তা প্রকৃত তথ্য নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে স্থলচুক্তি হয়েছিল চার বছর আগে, সেই চুক্তি যতদিন না সামনে আনা হচ্ছে, ততদিন তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। ফ্ল্যাটের চাবিও নেবেন না। তাঁদের বক্তব্য, তাঁদের বঞ্চনা করা হচ্ছে বলে তাঁরা আগেও ফ্ল্যাটের চাবি নেননি এবং বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তখন তাঁরা পুনর্বাসন সংক্রান্ত প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করারও দাবি তুলেছিলেন।

Advertisement

এ দিন দুপুরে ঝটিকা সফরে কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ানকে সঙ্গে নিয়ে হলদিবাড়িতে আসেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক জ্যোতির্ময় তাঁতি, মেখলিগঞ্জের মহকুমাশাসক রামকুমার তামাং, হলদিবাড়ির বিডিও সঞ্জয় পণ্ডিত প্রমুখ।

এ দিন সচিব সাবেক ছিটের বাসিন্দাদের জন্য নির্মিত স্থায়ী আবাসন ঘুরে দেখেন। তারপর চলে যান সাবেক ছিটের বাসিন্দাদের অস্থায়ী শিবিরে। সেখানে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে পৌঁছন নির্মীয়মাণ বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে চলে যান তিস্তার উপর নির্মীয়মাণ জয়ী সেতুটি দেখতে।

পরে সাবেক ছিটের বাসিন্দা অন্নদাপ্রসাদ রায় বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যুগ্মসচিব যে নথি আমাদের পরে শোনালেন সেটি আসল নথি নয়। আমরা চাই ২০১৫ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে যে স্থলচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল সেই নথি। সেই নথি যতদিন পর্যন্ত আমাদের সামনে প্রকাশ করা না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement