—প্রতীকী ছবি।
জেলে আসামিদের কাছ থেকে হামেশাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হচ্ছে। অভিযোগ, জেলরক্ষীদের গাফিলতির সুযোগ নিয়ে ওই মোবাইল ফোন যেমন জেলের ভিতরে ঢুকছে তেমনই জেলের অন্য প্রান্ত থেকে ফাঁকতালে ছুড়েই বন্দিদের কাছে ফোনের সেট পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এ বার বাইরে থেকে জেলে মোবাইল ফোন ছোড়া ঠেকাতে বন্দিদের ঘেরাটোপের চারপাশে সীমানা বরাবর ক্যামেরা বসাতে চাইছে কারা দফতর।
সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে ‘পাইলট প্রজেক্ট’ হিসেবে হাওড়া সংশোধনাগারে প্রথম ওই ক্যামেরা লাগানো হবে। তার জন্য কারা দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। তাঁরা ঠিক করবেন হাওড়া সংশোধনাগারে সীমানা বরাবর কোথায় কোথায় ওই ক্যামেরা বসানো যেতে পারে। এর পরে তা প্রস্তাব আকারে পাঠানো হবে রাজ্য সরকারকে। কারা দফতরের এক কর্তা জানান, হাওড়ায় ওই প্রজেক্ট সফল হলে বাকি জেলগুলিতে তা বসানো হবে। এতে জেলের বাইরে থেকে মোবাইল ফোন ভিতরে ঢোকা আটকানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ এবং কারা দফতর সূত্রের খবর, মাঝে মাঝেই তল্লাশি চালিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলের বন্দিদের থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়ে থাকে। ওই মোবাইল ফোন কী ভাবে তাদের হাতে এসেছে, তার খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গিয়েছে, জেলের বাইরে থেকে আসার সময় বন্দিরা কারারক্ষীদের চোখে ফাঁকি দিয়ে ওই মোবাইল নিয়ে যেমন ভিতরে ঢোকে তেমনই বাইরে জেলের পাঁচিলের উপর দিয়ে ভিতরে ছুড়ে দেওয়া হয় মোবাইল। ফোনটি অক্ষত রাখতে তা মূলত কাপড়ে মুড়ে ছোড়া হয়ে থাকে।
জেলে তো সিসি ক্যামেরা আছে, তা হলে কেন নতুন করে ক্যামেরার দরকার পড়ছে? সূত্রের দাবি, জেলের ভিতরে কোথায় কোথায় ক্যামেরা রয়েছে, তা বন্দিদের জানা। তারা সাবধানে ফোন ব্যবহার করে। কিন্তু সংশোধনাগারের পাঁচিল বরাবর সিসি ক্যামেরা বসলে বন্দিরা সহজে তার নজর এড়াতে পারবে না। কারা দফতর জানিয়েছে, সীমানা বরাবর আরও ক্যামেরা বসানো হলে কে বাইরের থেকে ছুঁড়ছে এবং ভিতরে কোন বন্দি তা সংগ্রহ করছে, দুটোই ক্যামেরায় ধরা পড়বে।
কারা দফতর ওই উদ্যোগ নিলেও তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে জেলের সঙ্গে যুক্তদের একাংশের। কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, বর্তমানে সব জেলেই ক্যামেরা থাকলেও তার বেশিরভাগ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে খারাপ হয়ে থাকে, ফলে যা আছে, তা দিয়ে নজরদারিতে ফাঁক থেকে যায়।