ফাইল চিত্র।
নির্বাচন-পরবর্তী হিংসার অভিযোগ নিয়ে সিবিআইয়ের মামলায় কলকাতার কাঁকুড়গাছির নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের মা মাধবী সরকার আদালতে গোপন জবানবন্দি দিলেন। নদিয়ার একটি হিংসার ঘটনায় সোমবার মহারাষ্ট্রের পুণে থেকে এক জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। ঝাড়গ্রামে ভোটের আগে নিহত এক বিজেপি কর্মীর হত্যাকাণ্ডেরও তদন্তে নেমেছে তারা।
সিবিআই সূত্রের খবর, সম্প্রতি শিয়ালদহ আদালতে মাধবীদেবী ও তাঁর বড় ছেলে বিশ্বজিতের গোপন জবানবন্দি নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিল ওই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। ওই মামলার যোগসূত্রে বহু ভিডিয়ো ফুটেজ সংগ্রহ করে তা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তদন্তকারীদের দাবি, এত দিনে হাতে আসা ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্টে জানানো হয়েছে, সেই ফুটেজ আসল।
নদিয়া থেকে পলাতক এক অভিযুক্তকে এ দিন পুণেতে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় সিবিআই। বলরাম দাস নামে ওই ব্যক্তিকে পুণের আদালতে তোলা হলে তাঁকে ট্রানজিট রিম্যান্ডে কলকাতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়। সিবিআই জানিয়েছে, পলাশ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগ রয়েছে বলরামের বিরুদ্ধে। কলকাতা হাই কোর্ট পশ্চিমবঙ্গের ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন-ধর্ষণের তদন্ত করার জন্য সিবিআই-কে নির্দেশ দেওয়ার পরে ওই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা পলাশ খুনের ঘটনায় নদিয়ার কোতোয়ালি থানায় আলাদা এফআইআর করে। তারা জানায়, পলাশ-হত্যা মামলায় ১০ সেপ্টেম্বর কৃষ্ণনগর আদালতে ১৫ জনের নামে যে-চার্জশিট পেশ করা হয়েছে, তাতে নাম ছিল বলরামের।
হাই কোর্ট শুধু ভোট-পরবর্তী সময়ে খুন-ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে সিবিআই-কে তদন্তের নির্দেশ দিলেও তারা ভোটের আগে নিহত এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু সংক্রান্ত মামলারও হাতে নিয়েছে। গত ২১ মার্চ ঝাড়গ্রামের নেতুরা গ্রামে আক্রান্ত হন বিজেপির যুব মোর্চার নেতা, বছর চব্বিশের তারক সাউ। ২৫ মার্চ কটকের হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তারকের দাদা মানিক সাউয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার পরে দুই তৃণমূল নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাঁরা জামিন পান। মানিকের দায়ের করা মূল অভিযোগে দু’জন মহিলা, এক প্রাথমিক শিক্ষক-সহ ১৪ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীর নাম ছিল। ২১ সেপ্টেম্বর সিবিআইয়ের নতুন এফআইআরেও ওই ১৪ জনকেই অভিযুক্ত করা হয়েছে।