ছবি: সংগৃহীত।
নারদ-মামলায় চার তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করার জন্য লোকসভার স্পিকারের অনুমোদন পাঁচ মাসেও না মেলায় এ বার তৎপর হলেন সিবিআইয়ের শীর্ষ কর্তৃপক্ষ।
গত মার্চে সুমিত্রা মহাজন লোকসভার স্পিকার থাকাকালীন নারদ মামলায় প্রথম চার্জশিট পেশ করতে চেয়ে চার তৃণমূল সাংসদ— কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর (এখন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী) নামে ‘প্রসিকিউশন স্যাংশন’ চেয়েছিল সিবিআই। এর পরে নতুন লোকসভা গঠন হয়েছে। নতুন স্পিকার ওম বিড়লা। সব মিলিয়ে কেটে গিয়েছে পাঁচ মাস। তার পরেও স্পিকারের দফতর থেকে অনুমোদন না আসায় সিবিআই অধিকর্তা ঋষি শুক্ল নিজেই সেই অনুমোদন পেতে তৎপর হয়েছেন বলে সংস্থার একটি সূত্রের দাবি। তবে বর্তমান স্পিকারের দফতর থেকে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে এখনও কোনও চিঠি তারা পায়নি।
সিবিআই সূত্রের দাবি, লোকসভা থেকে সংশ্লিষ্ট ফাইল গিয়েছিল সলিসিটর জেনারেলের অফিসে। সেখান থেকে আইন মন্ত্রকে। কিন্তু ওই মন্ত্রক থেকে ফাইল এখনও স্পিকারের দফতরে যায়নি। কেন আইন মন্ত্রকে এই ফাইল আটকে রয়েছে, সিবিআইয়ের শীর্ষ কর্তা এখন সেই ব্যাপারে তদ্বির করছেন।
সিবিআইয়ের একাংশে অবশ্য জল্পনা চলছে, স্পিকারের অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে ‘দীর্ঘসূত্রিতা’র পিছনে কি কোনও বিশেষ কারণ আছে? যদিও সংস্থার একটি সূত্রের দাবি, ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ এবং প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের গ্রেফতারির ঘটনার প্রভাব ঘিরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে এখনই পশ্চিমবঙ্গের সাংসদদের দিকে হাত বাড়াতে চাইছে না কেন্দ্র। পরিস্থিতি দেখে নিয়ে পরের দফায় তারা পশ্চিমবঙ্গের দিকে নজর দেবে। তখন প্রয়োজনীয় অনুমোদন আসতে হয়তো দেরি হবে না।
সিবিআই আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, লোকসভার স্পিকার অনুমতি দিলে প্রথম দফায় এই চার জনের নামে আদালতে চার্জশিট পেশ করা হবে। পরের দফায় অভিযুক্ত বিধায়ক-মন্ত্রীদের জন্য বিধানসভার স্পিকারের অনুমতি চাওয়ার কথা। লোকসভার স্পিকারের দফতর থেকে অনুমোদন না আসায় সেই প্রক্রিয়াও থমকে রয়েছে।