CBI vs Kolkata Police

কাকে বাঁচাতে চাইছেন মমতা, রাজীব কুমার না কি নিজেকে? প্রশ্ন বিজেপির

মমতা ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার জন্য বিজেপি সরকারের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতিকেই দায়ী করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৩:৩৫
Share:

প্রকাশ জাভড়েকর।—নিজস্ব চিত্র।

মমতা কী লুকোতে চাইছেন? কাকে বাঁচাতে চাইছেন তিনি? কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে, নাকি নিজেকে? সোমবার এই প্রশ্নগুলোই সরাসরি তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর

Advertisement

রবিবার সন্ধ্যায় যে ভাবে রাজীব কুমারের লাউডন স্ট্রিটের সরকারি বাসভবনের সামনে থেকে সিবিআই গোয়েন্দাদের ধরপাকড় করে থানায় তুলে নিয়ে যায় এবং তার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্না বসেন— গোটা ঘটনাকে গণতন্ত্রের হত্যা বলেওএ দিন মন্তব্য করেন জাভড়েকর। তাঁর কথায়, ‘‘কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গে যা হচ্ছে সেটা নজিরবিহীন। এর আগে কখনও এমন ভাবে কোনও তদন্তকারী দলকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়নি। গণতন্ত্রের হত্যা করা হচ্ছে।’’

তদন্ত প্রক্রিয়া আটকানোর চেষ্টা করতেই এই কাজ করা হয়েছে বলে মত প্রকাশের। একই সঙ্গে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন। সরাসরি প্রশ্ন তোলেন, ‘‘কাকে বাঁচাতে চাইছেন? কেন ধর্নায় বসেছেন? কী লুকাতে চাইছেন?’’ কুণাল ঘোষ, সৃঞ্জয় বসু, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস পাল, মদন মিত্রদের নাম করে তাঁর দাবি, এর আগে চিটফান্ড মামলায় তৃণমূলের একের পর এক নেতা-মন্ত্রী-সাংসদ গ্রেফতার হয়েছেন। জেলে গিয়েছেন। কিন্তু, আজ কেন মমতা ধর্নায় বসলেন, প্রশ্ন প্রকাশের। এখানেই থামেননি ওই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। রাজীব কুমারের কাছে কী এমন তথ্য আছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘কী আছে ওঁর কাছে যে, মমতাজি জান-প্রাণ এক করে দিচ্ছেন? মানুষ এর জবাব চাইছে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: সিবিআই-পুলিশ সংঘাত নিয়ে উত্তাল সংসদ, একজোট বিরোধীরা, রাজনাথ বললেন ‘নজিরবিহীন’​

আরও পড়ুন: ভিডিয়ো-সহ সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই, ‘তথ্য লোপাটের’ প্রমাণ চাইলেন গগৈ, কাল শুনানি​

মমতা ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার জন্য বিজেপি সরকারের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতিকেই দায়ী করেছেন। তাঁর সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে রাহুল গাঁধী থেকে শুরু করে গোটা দেশের বিজেপি-বিরোধী শিবির। এই পাশে দাঁড়ানোকেও এ দিন কটাক্ষ করেছেন প্রকাশ। তিনি বলেন, ‘‘বিরোধী দলগুলি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করেছে। এঁরা কারা? কেউ জামিনে বাইরে রয়েছেন, তো কেউ অভিযুক্ত। এমন সব মানুষরাই একত্রিত হয়েছেন। এটা কোনও মহাজোট নয়। ওঁরা মতাদর্শগত ভাবে আলাদা, কিন্তু দুর্নীতিগত ভাবে এক। দুর্নীতি ওঁদের এক করে দিয়েছে।’’

(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া -পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবর আমাদের রাজ্য বিভাগে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement