সম্পত্তির পরিমাণ ৫০ কোটির বেশি। প্রতীকী ছবি।
গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এবং সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম থাকা বীরভূমের আব্দুল লতিফের বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেল সিবিআই। বৃহস্পতিবার শান্তিনিকেতনের রতনকুঠিতে, সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে তলব করা হয়েছিল বোলপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের হেড ক্লার্ক শামসের আলিকে। তাঁর কাছ থেকে জমি সংক্রান্ত প্রচুর নথি সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রের খবর, সেই নথি খতিয়ে দেখে লতিফের চল্লিশটির বেশি সম্পত্তির হদিস মিলেছে। যার মধ্যে মহিদাপুর এলাকায় একটি বিশাল জমি গরু পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হক এবং লতিফের নামেও রয়েছে। এই সব সম্পত্তির বাজারদর ৫০ কোটি টাকারও বেশি, দাবি সিবিআইয়ের!
সিবিআইয়ের সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, গরু পাচারের বেআইনি টাকায় ফুলেফেঁপে ওঠা ইলামবাজারের লতিফের মতো ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা ‘প্রভাবশালীদের’ কাছে গিয়েছে। এনামুল হক এবং সেহগাল হোসেনের কাছ থেকেও লতিফের নাম পাওয়া গিয়েছে বলে সিবিআইয়ের দাবি। এই লতিফ বরাবরই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। সেই সূত্রে অনুব্রতের দেহরক্ষী সেহগালের সঙ্গে তাঁর নিত্য ওঠাবসা ছিল। লতিফ অবশ্য এখনও সিবিআইয়ের নাগালে আসেনি।
এ দিনই বোলপুরের প্রোমোটার সৌমেন ওরফে রানা সরকারকে রতনকুঠিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। অনুব্রতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে কিছু অর্থ রানার ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি অনুব্রতের নির্দেশে রানা তাঁর ঘনিষ্ঠ এক কাউন্সিলরের অ্যাকাউন্টে ধাপে ধাপে কয়েক কোটি টাকা দিয়েছিলেন বলেও সিবিআই সূত্রের দাবি। ওই কাউন্সিলরের বাড়িতে মাসখানেক আগে তল্লাশিও চালিয়েছে সিবিআই।
অনুব্রতের বিরুদ্ধে চার্জশিটে বোলপুরের এক প্রাক্তন ব্যাঙ্ক আধিকারিকের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি এখন বোলপুরেই থাকেন। সিবিআইয়ের দাবি, ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কয়েক ধাপে প্রাক্তন আধিকারিককে ৫ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা দিয়েছেন অনুব্রত। সেই টাকা সোনাঝুরির একটি হোম স্টে-র ওভারড্রাফট অ্যাকাউন্টে জমা পড়ত। সেখান থেকে ঘুরপথে টাকা অনুব্রতের নিকটাত্মীয়দের অ্যাকাউন্টে যেত বলে সিবিআইয়ের দাবি।