রামপুরহাট আদালক থেকে সিবিআইয়ের শিবারে আনা হল বগটুই-কাণ্ডে অভিযুক্তদের। ছবি: সব্য়সাচী ইসলাম।
বগটুই গণহত্যার ঘটনায় জেল হেফাজতে থাকা ৯ জন অভিযুক্তকে সিবিআই তাদের হেফাজতে নিল। শুক্রবার রামপুরহাট এসিজেএম আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী দশ জনকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন করেন।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বিচারক শৌভিক দে সিবিআইয়ের আবেদন মঞ্জুর করে ৯ জনকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। আর এক অভিযুক্তকে তিন দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে নাবালক কি না, জানতে চেয়ে ৪ এপ্রিলের মধ্যে তার বয়সের প্রমাণপত্র আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বয়সের প্রমাণপত্র মিলে গেলে ওই অভিযুক্তকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে পাঠানো হবে বলে সূত্রের খবর।
২১ মার্চ রাতে বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনের ঘটনার পরেই ভাদু অনুগামীরা বগটুই গ্রামে তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। ২২ মার্চ সকালে বগটুই গ্রামের পূর্বপাড়ার বাসিন্দা সোনা শেখের বাড়ি থেকে ৭ জনের অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয়। হামলায় মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ওই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে ২২ জনের নামে খুন, বাড়িতে অগ্নিসংযোগ সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেছিল। এ ছাড়াও আরও ৭০-৮০ জন যুক্ত বলে এফআইআর-এ উল্লেখ ছিল। ২০ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। আদালতে ১০ জনের পুলিশ হেফাজত হয়, বাকিদের জেল হেফাজত হয়েছিল। এ বার তাদের মধ্যে ৯ জনকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারবে সিবিআই।
এ দিনও রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন-সহ ৬ জনকে জেরা করেন সিবিআই তদন্তকারীরা। এ ছাড়া বগটুই মামলার অভিযোগকারী পুলিশকর্মী, রামপুরহাট থানার এসআই ধ্রুবজ্যোতি দত্ত এবং এএসআই গোলক ঘোষকে সিবিআই দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে। সন্ধ্যায় তলব করা হয় রামপুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত আইসি সর্বজিৎ বসুকে। বগটুই-কাণ্ডে সাসপেন্ড হওয়া আইসি ত্রিদীপ প্রমাণিকের জায়গায় তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। বৃহস্পতিবারের পরে এ দিনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় দমকল বিভাগের ওসি এবং কর্মীদের।
রাতে থানার আইসি, পুলিশ ও দমকলকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বগটুই গ্রামে পৌঁছন সিবিআইয়ের ডিআইজি অখিলেশ সিংহ। সেখানে সোনা শেখের বাড়ি পরিদর্শন করেন তাঁরা।